এক হাজার টাকার জন্য আদমদীঘিতে গায়েবী ধর্ষন মামলায় দুই ভাই জেলহাজতে
প্রকাশ : 2022-04-10 19:32:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ধর্ষনের কোন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ধর্ষন মামলা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজত রয়েছেন আপন দুই ভাই। মাত্র এক হাজার টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে ঘটেছে ওই মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়েরের ঘটনা। জেলহাজতে থাকা ওই দুই ভাইয়ের প্রতিবেশী কর্তৃক তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষন মামলা করায়। মিথ্যা মামলা করার কথা বাদী নিজে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট দাবী করলেও নির্দোষ দুই ভাইয়ের সহসা মুক্তি মিলছে না। পুলিশী তদন্তে প্রমান না হওয়া পর্যন্ত তাদের রেহায় নেই বলে জানিয়েছেন আদমদীঘি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্য জালাল উদ্দিন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চা ল্য সৃষ্টি করেছে।
গ্রামবাসী এবং ধর্ষন মামলার বাদী সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর গ্রামের শিয়ালগাড়ীপাড়ার বাসিন্দা কৃষক রফিকুল ইসলাম বহু বিবাহ করা এবং স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় আসক্ত ব্যক্তি। এক স্ত্রীর সাথে বেশী দিন সংসার করা তার পছন্দ নয়। যে কোন ফন্দি-ফিকিরে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া তার নেশা।
জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার চাটখইর উত্তরপাড়া গ্রামের মমতাজ মন্ডলের মেয়ে শ্যামলী বেগমের সাথে প্রায় দেড় বছর আগে একই উপজেলার কোমারপুর শিয়ালগাড়ীপাড়ার রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্যামলী জানতে পারেন তার স্বামী বহু বিবাহে আসক্ত। তার পুর্বে সে আরো ১০ বিয়ে করেছে এবং ষড়যন্ত্র করে অল্প দিনের মধ্যে তালাক দিয়েছেন। মিথ্যা ধর্ষন মামলা করার কারণ হিসাবে শ্যামলী জানান, তার স্বামী নিজস্ব পাওয়ার ট্রিলার মেশিন দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য কৃষকের জমি চাষ করে দেয়। তার ধারাবাহিকতায় প্রতিবেশী হান্নান ফকির ও দুলু ফকিরের জমি চাষ করে দেয়। জমি চাষ করে দেওয়ার পাওনা এক হাজার টাকা নিয়ে হান্নান ও দুলু ফকিরের সাথে তার স্বামীর বিবাদ চলছিল। ওই দুইজনকে শায়েস্তা করার জন্য স্বামী আমাকে ধর্ষন মামলা করতে বলে। আমি মিথ্যা মামলা করতে রাজী হয়নি। তখন তিনি আমাকে মেরে ফেলবে এবং কি উপায়ে মেরে ফেলবে সে বর্ণনা দেয়। তার পরিকল্পনা শুনে ভয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ি। নিজে বাঁচতে গিয়ে গত ১৭ মার্চ ধর্ষিত হয়েছি মর্মে ৬ এপ্রিল মিথ্যা মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই। পরে মিথ্যা মামলা দায়েরের তথ্যটি রহস্যজনক ভাবে ফাঁস হয়ে যায়। শুক্রবার এঘটনার জন্য স্বামী আমাকে দোষী করে শারিরীক ভাবে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরে আমার মাথার চুল কেটে ন্যাড়াপ্রায় করে দিয়ে গ্রামে ঘোরাতে থাকে। পুলিশ খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার এবং স্বামী রফিকুলকে গ্রেফতার করে।