এক চোখে মায়াকাজল আর চোখে শিশিরের জল
প্রকাশ : 2021-11-28 09:46:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
খান নোমান
---------------
আজন্ম নজরবন্দী রেখেছি খোলা আকাশ,
দিগন্তে আঁকা ছবি গাঁও- নীলাভ সবুজ,
চোখের আলোয় সোনারঙ রোদ্দুর - ফসলের মাঠ,
তারার উঠোনে ছিল ষোড়শী চাঁদ ভর যৌবন রাত।
জীবনের তিয়াস মেটেছে আকণ্ঠ আজীবন
তবুও তৃষার্ত হয় বহমান ঘোড়াউত্রা নদী-
কাইমারবালী মেলা- নাক ডুবু ডুবু পাথরবাহী নাও-
দূরে -বহূ দূরের কৈটুপি গাঁও।
সব মানুষের সাথে গড়েছি বসত-দেখেছি
কুলহারা ছমিরনের বিষন্ন বিকেল বিগত,
নাওয়ের গলুইয়ে বসা জনাব আলীর ছিপটান দেহ
আঁধারের কারবারি কাতলা মুখ বাসুদেব গুহ।
খুব ভোরে তাহাজ্জুদ পড়া পল্লীজননী;
হাতে চালভাজা ছাতু- পাড়া গুড়- কলচাপা পানি;
খোকা যাবে দূর শহর - ভোরের ট্রেন ধরে
সবই আজ থেকে থেকে স্মৃতির কড়া নাড়ে।
বদলে যাওয়ার নিয়মের বাইরে
বদলে যেতেও দেখেছি - কীভাবে
কালের সন্তর্পণে এগোয় শ্বাপদ সকল
ক্রমাগত দখলে নেয় বিল-নদী-খাল,
উপড়ে ফেলে বিশাল বপু শতবর্ষী ঋষি (কড়ই) গাছ -
সরিষাপুরের মাথায় ছাতা হয়ে দাঁড়ানো গাছটি-
ঐ রাস্তার ধারে মাঠে ঘাটে লুট হয়-
কৈশোর রাঙানো বিকেল- আড্ডা হল্লোর মাখা-
স্বপ্ন রঙ আগামীর প্রজাপতি পাখা।
আজ গোধূলীর ছায়াতলে
মায়াহরিণ চোখ ফিরে দ্যাখে বার বার,
রক্তচক্ষু গর্জন বাঘ হরিণডাঙার বাঁকে
ঘুরে দাঁড়ায় না আর।
সব কিছু বদলে যায় এভাবেই - থাকে
স্মৃতির মায়া কাজল - এক চোখে,
আর চোখে শিশিরের জল।