এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহন, চাপ কমেছে নিচে

প্রকাশ : 2023-09-05 13:27:06১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহন, চাপ কমেছে নিচে

ঢাকা: প্রথম দিনের তুলনায় ধীরে ধীরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করায় নিচের সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ অন্যদিনের তুলনায় কমতে শুরু করেছে।

সোমবার সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টায় গাড়ি চলাচল করেছে ১৮ হাজার ৫৭১ টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৫ লাখ ৬ হাজার টাকা।

যেটা রোববারের চেয়ে অনেক বেশি। রোববার একইসময়ে অর্থাৎ সকাল ছয়টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টায় মোট গাড়ি চলেছিল ১৪ হাজার ৭২৭ টি।  

প্রথম দিনের চেয়ে সোমবার এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।

তিনি জানান, সোমবার সকাল ৬ টা রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টায় গাড়ি চলাচল করেছে ১৮ হাজার ৫৭১ টি।  

এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী ও মহাখালী গেছে ১০ হাজার ২২১ টি গাড়ি। কুড়িল থেকে বনানী ও মহাখালী গেছে ২ হাজার ৫১৯ টি গাড়ি।

বিপরীতে বনানী থেকে কুড়িল গেছে ১ হাজার ১১৮ টি গাড়ি। তেজগাঁও থেকে মহাখালী, কুড়িল, বনানী ও বিমানবন্দর গেছে ৪ হাজার ১১৩ টি গাড়ি।

এ রাস্তায় চলাচলকারীরা বলছেন, নিচের রাস্তা অন্যদিনের তুলনায় অনেকটা চাপমুক্ত। প্রাইভেটকারগুলো ওপর দিয়ে যাওয়ার কারণে আপাতত যানজট একটু কমেছে।

রাকিব হাসান নামের এক যাত্রী জানিয়েছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসের ভালোই সুবিধা,মাত্র ২০মিনিটে রাজলক্ষী টু মহাখালী,তবে ওপর দিয়ে নয় নিচ দিক দিয়েই।

ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ বলছে, র‌্যাম্পগুলোতে ওঠানামায় নগরবাসী অভ্যস্ত হলেই বাড়বে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল, ধীরে ধীরে মিলবে আরও সুফল। কারণ, উড়াল পথের র‌্যাম্পগুলোর সঙ্গে চালকরা পরিচিত হলে চাপ বাড়বে নতুন পথে, এতে নিচের সড়কে ফিরবে স্বস্তি।

তবে এই পথে গণপরিবহন নেই বলে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাদের উদ্দেশে নগরবিদরা বলছেন, এমন সড়ক কখনোই গণপরিবহনের জন্য নয়। তবে ওপরে যত বেশি সম্ভব ব্যক্তিগত ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি তুলে দিতে পারলেই নিচের পথে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে।

এর আগে শনিবার এই অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চালু হওয়া অংশে ওঠা-নামার জন্য মোট ১৫ টি র‌্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট দুটি, কুড়িল তিনটি, বনানী চারটি, মহাখালী তিনটি, বিজয় স্বরণী দুইটি ও ফার্মগেট একটি করে।  

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।