একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড ১১৯ আক্রান্ত ৫২৬৮
প্রকাশ : 2021-06-27 20:14:48১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ১৭২ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৬৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জনে। মৃত ১১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৫ জন ও ৪৪ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
রোববার (২৭ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৫৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ৬২৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪০০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮১টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৩১৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯২৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৭২ হাজার ৪৭১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪০ হাজার ৫৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।