উপমহাদেশীয় মুসলিমদের শিক্ষার পথপ্রদর্শক যিনি

প্রকাশ : 2022-10-17 12:48:50১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

উপমহাদেশীয় মুসলিমদের শিক্ষার পথপ্রদর্শক যিনি

স্যার সৈয়দ আহমদ খান বাহাদুর,  (১৭ অক্টোবর ১৮১৭ – ২৭ মার্চ ১৮৯৮), জন্মনাম সৈয়দ আহমেদ তাকভি), সাধারণত স্যার সৈয়দ নামে সমধিক পরিচিত, ভারতের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ যিনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন।

পশ্চাৎপদ মুলমানদের উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এই লক্ষ্যে তিনি ১৮৫৮ সালে মোরারাদাবাদে একটি বিদ্যালয় খোলেন। একই ভাবে তিনি ১৮৬৪ সালে গাজীপুরে ‘আলিগড় বৈজ্ঞানিক সমিতি’ যার উদ্দেশ্য ছিল পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বই ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা। তিনি ১৮৭৬ সালে মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়া তিনি ‘তাহজিব-উল-আখলাক’ নামে একটি উর্দু পত্রিকা প্রকাশ করেন। তদুপরি তিনি কমিটি ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ লার্নিং নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেন।

তার চিন্তাধারা ও কাজকর্ম ভারতবর্ষে মুসলমানদের মধ্যে একটি নতুন চেতনার জন্ম দেয়। এর প্রভাবে প্রভাবান্বিত এই মুসলমান বুদ্ধিজীবীরাই পরবর্তীতে আলিগড় আন্দোলনের সূচনা করেন যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করা। তবে এই আন্দোলন গোঁড়া মৌলবি ও মােল্লাদের বিরােধিতা সম্মুখীন হয়।

নিজের বিভিন্ন উদ্যোগ ও বৃটিশদের পৃষ্ঠপোষকতার ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে সৈয়দ আহমদ ভারতবর্ষের জাতীয় নেতায় পরিণত হন। ১৮৭৮ সালে লর্ড লিটন তাঁকে রাজকীয় আইনসভায় মনোনয়ন দান করেন। ১৮৮৭ সালে লর্ড ডাফরিন তাঁকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ১৮৮৮ সালে বৃটিশ সরকার তার ‘নাইটহুড’ প্রদান করে। এর পর থেকে তিনি স্যার সৈয়দ আহমদ; হিসাবে পরিচিত হতে থাকেন। ১৮৯৮ সালের ২৭ মার্চ ভারতে মুসলিম জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব স্যার সৈয়দ আহমদ খানের মৃত্যু হয়৷