উপদেষ্টার উপস্থিতিতে শেখ মুজিব ও হাসিনার ছবি প্রদর্শন, ক্ষোভ প্রকাশ
প্রকাশ : 2025-09-15 11:04:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

রংপুরে প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ বিভাগের কর্মশালায় ভার্চুয়াল প্রেজেনটেশনে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুরে আরডিআরএস বাংলাদেশ ভবনের বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এ ঘটনায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পতিত সরকার প্রধানের ছবি প্রদর্শন নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তারা।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেন্টেশন দেন প্রকল্প সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী। এসময় প্রকল্পের তথ্য-চিত্র প্রদর্শনের সময় একটি স্লাইডে বিগত সরকারের শাসনামলে অনুষ্ঠিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার ছবিতে অতিথিদের মাথার ওপর শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দেখা যায়। কর্মশালায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শিত হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হতে পারে না। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয় তবে সেটি চরম অবমাননাকর। এত মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যিনি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেছেন, তিনি বলেছেন এটি ভুলক্রমে হয়েছে, উনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মনে করছি ফ্যাসিবাদ জাস্ট চলে গেছে। ফ্যাসিবাদ অনেক রকম রূপে রয়েছে, তার প্রতিফলন নানাভাবে ঘটছে। আমরা যখন বিষয়গুলো জানতে পারছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
এছাড়া এ কর্মশালায় প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানো মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রণ করা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা বিশেষ কোনো রোগ জানা মাত্রই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। সব প্রাণীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করবে। প্রাণী থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানোর চান্স দিতে চাই না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নিরাপদ মাংস, দুধ, ডিম পেতে হলে প্রাণীকে নিরাপদ ও রোগমুক্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন আমদানি করি, তাই দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা প্রাণীদের ঠিকমত ভ্যাকসিন দিতে পারে না। আমরা সব প্রাণীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ান হেলথ কনসেপ্টের আওতায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, যুগ্ম সচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকারসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কা/আ