‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : 2021-11-14 09:49:08১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ‘অসামান্য অবদানের’ স্বীকৃতিতে চলতি বছরের উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বের ৮০টি দেশের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির ‘অলিম্পিক’ হিসেবে খ্যাত এ পুরস্কার দেয়।
ঢাকায় চলমান 'ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির’ তৃতীয় দিন শনিবার এবারের উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে উইটসা মহাসচিব জেমস এইচ পয়জান্টের কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেন।
উইটসা পুরস্কারের ঘোষণায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি তিনি ‘প্রতিটি নাগরিকের খাদ্য ও ভোটাধিকার’ নিশ্চিত করেছেন। তার সময়েই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন তরান্বিত হয়েছে শেখ হাসিনার ‘যোগ্য নেতৃত্বের কারণে’।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্ব বোধ করছি।” ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে গত ১২ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দেওয়ায় উইটসা মহাসচিবকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন, বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে আরো অনুপ্রাণিত হবে।”
তিনটি ক্যাটাগরিতে এবার বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগকে পুরস্কৃত করেছে উইটসা। এর মধ্যে বাংলাদেশের তিনটি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রয়েছে।
‘সাসটেইনেবল গ্রোথ/সার্কুলার ইকোনমি’ক্যাটাগরিতে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিককারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, ‘ইনোভেশন ই-হেলথ সলিউশন’ক্যাটাগরিতে জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন-১৬২৬৩ এবং ‘ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং’ ক্যাটাগরিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবার পুরস্কার পেয়েছে।
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, হংকং, নেপাল, তাইওয়ান, গ্রিস ও রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগ রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শনিবার ই-কমার্স, সাইবার সিকিউরিটি, উইটসা অ্যাওয়ার্ড এবং প্রযুক্তিব্যবসা বিষয়ক মোট আটটি সেশন ও সেমিনার হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।