ইয়াসের প্রভাবে লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে দিশেহারা নদী তীরবর্তি মানুষ
প্রকাশ : 2021-05-27 19:35:40১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ইয়াসের প্রভাবে গত দুদিন ধরে পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ঘর বাড়ি, গাছপালা ফসলি জমি সহ নানা স্থাপনা। পদ্মা পাড়ের বাসিন্দার আতংকিত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পদ্মার ভাঙ্গন শুরু হয় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে তার সাথে ভাঙ্গে বহু মানুষের মাথা গোজার ঠাইঁ শেষ সম্বল টুকু। এবার বর্ষা মৌসুম আসার পুর্বেই নদী ভাঙ্গনের গর্জন শোনা গেছে গত দুদিন ধরে ইয়াসের কারনে।
লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল কবীর জানান, ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গবার থেকে নদী উত্তাল তাই মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রবোল ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙ্গন বৃদ্বি পেয়েছে । বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ ফুট ফসলি জমি ভেঙ্গে গেছে বেজগাঁও ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে নদীর তীর বর্তি এলাকায়। এদিকে ভাঙ্গন ঠেকাতে সকাল থেকেই নিজস্ব উদ্যোগে এলাকাবাসি বাস বালুর বস্তা দিয়ে বাধঁ নির্মানের চেষ্ঠা চালাচ্ছে। বেজগাঁও মৃধা বাড়ি থেকে বাঘের বাড়ি হয়ে লৌহজং-তেউটিয়া পদ্মার চর, কলমা,ডহরী, শামুরবাড়ি, গাঁওদিয়া, কনকসার, কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া এলাকা জুড়ে চলছে এই ভাঙ্গন। বেজগাঁও ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোসেন সরদার জানান, আমরা নদী ভাঙ্গনের স্বীকার পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছি কেউ আমাদের খোজ নেয়নি। সরকার আমাদের কিছু সহযোগিতা করলে আমরা ভাঙ্গন কিছুটা হলেও ঠেকাতে পারতাম। তাই নিজেদের বাড়ি-ঘর রক্ষাত্বে আমরা এলাকা বাসি নিজস্ব উদ্যোগে বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে তাতে বালুর বস্তা ফেলে সাময়িক ভাঙ্গন ঠেকাতে চেষ্ঠা করছি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ- ২ লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি) আসনের মানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়ামিন এমিলি জানান, আমরা বরাবর ভাঙ্গন রোধে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি তার পাশাপাশি ভাঙ্গন রোধ কল্পে স্থায়ী বাধেঁর ব্যবস্থা করে চলেছি। ইতিমধ্যে মাওয়া পদ্মা সেতু এলাকা থেকে দিঘীর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নদী শাসন কল্পে খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে। এর আগে আমারা ভাঙ্গন কবলীত এলাকা গুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধেঁ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। যেমন শামুর বাড়ি ও কুমারভোগের খড়িয়ায় এখন বালু ভর্র্তি জিও ব্যাগ ফেলে কিছুটা রোধ করা হয়েছে ভাঙ্গন এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে নদী ভাঙ্গন রোধে। লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গন রোধে আমি সব রকম ব্যবস্থা করেছি যাতে আর একটি মানুষ নদী ভাঙ্গনের স্বীকার না হয়।