ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশ : 2023-07-25 14:40:27১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ‘জামিন অযোগ্য’ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে আসন্ন নির্বাচনে লড়াইয়ে টিকে থাকাটা তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালো। সোমবার (২৪ জুলাই) একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার দিনই তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণের পর রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেড়শতাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার ইসলামাবাদে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধি অমান্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি পূর্বের নোটিশ এবং জামিনযোগ্য পরোয়ানা সত্ত্বেও কমিশনের সামনে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন পিটিআই প্রধান।

পরোয়ানার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে তার দল জানিয়েছে, লাহোরে জামান পার্কে খানের একজন আইনজীবী তা গ্রহণ করেছেন।

তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যানকে আজ সোমবার (২৫ জুলাই) হাজির হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ইমরান খান নির্বাচন কমিশনের সামনে উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছে দলটি। তবে তিনি কখন হাজিরা দেবেন সময় উল্লেখ করেননি।

নির্বাচন কমিশনের বিপক্ষে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে ৯২ বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও এই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সামনে হাজির করতে ইসলামাবাদ পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানার পরপরই ইউটিউবে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্যে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, 'কারাগারে যেতে প্রস্তুত'।

গত (৯ মে) মঙ্গলবার ইসলামাবাদের আদালতে হাজিরা দিতে এলে বাইরে থেকেই আধাসামরিক বাহিনীর হাতে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার হন ইমরান খান। ওই দিনই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার গ্রেফতারকে বৈধতা দেয়। পরদিন বুধবার তাকে একটি বিশেষ আদালতে হাজির করার পর দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর হাতে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

ইমরানকে গ্রেফতারের পর সারা দেশে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় এক ডজন লোক নিহত হয়। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল।