ইমরান খানঃ পরাজিত, নাকি বিজয়ী
প্রকাশ : 2022-04-17 20:48:43১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
এক সময়ের বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার ইমরান খান এখন রয়েছেন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানের এখন দুঃসময় যাচ্ছে। রাজনীতির পিচে টিকে থাকতে তিনি সব পন্থাই অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তাকে ফেভার করেনি। ফলে ভারাক্রান্ত মনে আপাতত মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। থার্ড অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাকে মাঠ ত্যাগে বাধ্য করেছে। বিরোধী দলগুলোর উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবের ইনসুয়িং বলটিকে বেশ কায়দা করেই মাঠের বাইরে পাঠিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন। প্রথমে সফলও হয়েছিলেন। স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে নাকচ করে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। প্রথম দিকে এটাই ছিল ইমরান খানের চমক। কিন্তু মাঠের বাইরে থাকা থার্ড অ্যাম্পায়ার সুপ্রিম কোর্ট ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিষ্টেম) পর্যালোচনা করে রায় দিলেন, ইমরানের ছক্কা হয়নি। তাই পার্লামেন্ট ভাঙেনি। অধিবেশন বসবে এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিও হবে। এভাবেই ‘কট আউট’ হলেন এক সময়ের ক্রিকেট বরপুত্র ইমরান খান। তবে রাজনৈতিক কৌশলে হারেন নি ইমরান। হেরেছেন বিচার বিভাগের রুলিংয়ে। বিশ্লেষকরা এর সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীরও ইন্ধন দেখছেন।
অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর যেভাবে পশ্চিমা মিডিয়া প্রচারে নেমেছিল, তাতে মনে হয়েছিল, ইমরান খান অনাস্থা ভোটে গো-হারা হারবেন। প্রায় দুইশ এমপি ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাট্টা হেেয়ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল মাত্র দুটি ভোট ইমরানের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ ঘনিয়ে দিল। ৩৪৫ সদস্যের পার্লামেন্টে অনাস্থা পাশের জন্য দরকার ১৭২ জনের সমর্থন। ভোটাভুটির দিন ইমরানের বিপক্ষ ভোট দিয়েছে ১৭৪ জন। অর্থাৎ মাত্র দুটি ভোট পক্ষে রাখতে পারলেই ইনিংসে টিকে যেতেন অল রাউন্ডার। কিন্তু সেটা হয়নি। এর পেছনে বিরোধী জোটের নেতাদের ক্ষমতার লোভকেই দায়ী করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
ইমরান খানের সরকার হটে যাওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরীফ। ইমরান খান ও তার দলের এমপিরা গণপদত্যাগ করে পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ১৭৪ ভোটে নির্বাচিত হন শাহবাজ শরীফ। অবশ্য তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ-পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করার ফলে শাহবাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শাহবাজ শরীফকে শপথ করান সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সনজারানি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর শপথ করানোর কথা ছিল প্রেসিডেন্টের। কিন্তু ইমরানের আস্থাভাজন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিব্রত বোধ করায় শাহবাজকে শপথ করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩৪৫ আসনের মধ্যে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ-পিটিআইয়ের ছিল ১৫৫টি আসন। অন্যদিকে শাহবাজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-(নওয়াজ)-এর ৮৪টি এবং বেনজির ভূট্টো তনয় বিলওয়াল ভূট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির রয়েছে ৫৬টি আসন। ১৭৪ টির মধ্যে বাকি ৩৪ টি বিভিন্ন ছোট ছোট দল ও জোটের। ফলে এ সরকার কতদিন টিকবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। ইমরানের দলের তীব্র বিরোধিতা এবং নানা মত ও পথের দল ও গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত শাহবাজ সরকার তাদের মেয়াদ পুরো করতে পারবে কিনা এ প্রশ্ন উঠেছে। যদি না পরে, তাহলে পাকিস্তানের ট্র্যাডিশন একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত থেকে রক্ষা পাবে। কারণ পাকিস্তানের পঁচাত্তর বছরের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ শেষ করতে পারেন নি। প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান থকে শুরু করে সর্বশেষ ইমরান খান পর্যন্ত একই ট্র্যাজিডির উত্তরাধিকার।
এ নিবন্ধ বেরুনোর আগেই হয়তো শাহবাজ তার মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ খানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কি তার এই স্বল্প মেয়াদী সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন, নকি মাঝপথেই তাকে ক্ষান্ত দিতে হবে? কেননা, এ মুহূর্তে পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্লামেন্ট ছেড়ে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশের পর থেকেই পাকিস্তানের সর্বত্র ব্যাপক গণবিক্ষোভের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। অনেকের মতে, একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় ইমরান খানের এ বিদায় মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। তারা এখন শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। একই সঙ্গে ইমরান খানের দলের জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগ সেখানে সাংবিধানিক জটিলতারও সৃষ্টি করেছে। কারণ ওই ১৫৫ টি আসনকে শূন্য রেখে পার্লামেনট অব্যাহত রাখা এক রকম অসম্ভব। আবার শাহবাজ সরকার শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন দিয়ে সফল হতে পারবে, এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সরকার যদি সে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পিটিআই-এর প্রবল বিরোধিতার মুখে তাদেরকে পড়তে হবে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জাতীয় পরিষদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন করা একেবারেই যে অসম্ভব ব্যাপার তা নিয়ে কারোরই তেমন সন্দেহ নেই। তাহলে কী হবে শহবাজ সরকারের, কী হবে পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার? এ বিষয়ে পাকিস্তানের বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন- ‘এ রকম মুহূর্তে শাহবাজ শরীফের এই আপাত বিজয়কে কিছুটা ম্লান হয়ে উঠতে দেখা গেছে। চিরশত্রু পিপিপির সঙ্গে ইমারানবিরোধী রাজনৈতিক বিবাহের মধুচন্দ্রিমায় মুসলিম লীগের (এন) মাঝে উদযাপনের অভিব্যক্তি ম্রিয়মাণ হয়ে এসেছে। আপাতত শাসনদন্ডকে কাজে লাগিয়ে পিপিপির জারদারি, মুসলিম লীগের নওয়াজ এবং শাহবাজর দুর্নীতি মামলাগুলো ধামাচাপা দিয়ে জনতুষ্টির শাক দিয়ে অপরাধের মাছ ঢাকার লক্ষ্যেই তাদের নতুন সম্পর্ক- বিশ্লেষকরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত। কারণ এই দুর্নীতিবাজ দল দুটি পাকিস্তানিদের অনেক দিনের চেনা। নতুন প্রধানমন্ত্রী (শাহবাজ শরীফ) দুর্নীতি মামলায় জামিনে থেকে শপথ নিলেন- এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে জনসাধারণের। সাতটি দশক সেনাবাহিনী যেভাবে পাকিস্তানে মনপছন্দ সরকার টিকিয়ে রেখে ফিউডাল হ্যাংওভারে ভূগছে, সেই একই ফর্মূলা ইমারানকে দমাতে কাজে লাগে কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়। ইমরানের জেগে ওঠার মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিমুখ পাকিস্তানিরা যে অত্যন্ত রাজনীতিসচেতন ও নিজের অধিকার সম্পর্কে সক্রিয়- আজকের পাকিস্তানের উত্তুঙ্গ রাজপথ যেন তারই প্রমাণ। এই আন্দোলন আগাম নির্বাচন দেওয়া ছাড়া শাহবাজের সামনে আর কোনো বিকল্প রাখেনি। নানামুখী আলোচনায় এ আভাস যেন স্পষ্ট।’ (সূত্রঃ সমকাল, ১২ এপ্রিল, ২০২২)।
শঙ্কা রয়েছে অন্যদিকেও। যেসব দল ইমরান খান বিরোধী প্ল্যাটফরমে একত্রিত হয়েছিল, তাদের মধ্যে মত ও পথের বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। কমন শত্রু ইমরান হটাতে তারা আপাতত একতাবদ্ধ হলেও সরকার পরিচালনার নীতির প্রশ্নে সে ঐকমত্য কতদিন অক্ষুন্ন থাকবে তা এখনই বলা কঠিন। অন্যদিকে জনমত এখন ইমরান খানের দিকে ঝুঁকছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইমরান খানের জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটারের পারদ উপরের দিক উঠতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকগণের ধারণা, বিরোধী দলগুলো, সেনাবাহিনী ও বিচারবিভাগের মিলিত চক্রান্তের ফলেই কুপোকাত হয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতাতাচ্যুত ইমরানও একই কথা বলেছেন। তিনি অবশ্য সেনাবাহিনী বা বিচার বিভাগের কথা সরাসরি উল্লেখ করেন নি। তবে, তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পশ্চিমা পরাশক্তির ষড়যন্ত্রের কথা খোলাখুলিই বলেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) ইমরান খানের সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে সেনাপ্রধান বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বা তার বাহিনী ওই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাচ্ছিল না। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিচার বিভাগও খাপ্পা ছিল ইমরান খানের ওপর। যে জন্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে নিজেদেরকে পক্ষভূক্ত করে নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের আরেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানীও আদালত অবমাননার দায়ে আদালতের নির্দেশে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল।
পাকিস্তান রাষ্ট্রটির সবচেয়ে বড় ট্র্যাজিডি হলো সেখানে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গড়ে না ওঠা। জন্মের পর থকে অর্ধেকেরও বেশি সময় সামরিক শাসনের দ্বারা পরিচালিত এ রাষ্ট্রটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি আজও। এর প্রধান কারণ পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে নিজেদের নাক কাটা। সরকারকে পর্যুদস্ত করতে বিরোধী দলগুলোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মেলানোর ঘটনা পাকিস্তানে নতুন নয়। এটাও সত্যি যে, ইমরান খান সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট হয়েই পাকিস্তানের শাসনকর্তা হয়েছিলেন। তবে, পার্থক্য এই, তিনি সেনাবাহিনীর কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেন নি। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও সেনাবাহিনী একটি প্যারালাল শক্তিকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। অধূনা বিচার বিভাগও সে কাতারে শামিল হয়েছে। যার ফলে একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা দেশটিতে সুদূর পরাহতই থেকে যাচ্ছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী আবার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে কী না। যদি সে রকম কিছু ঘটে, তাহলে পাকিস্তানের গণতন্ত্র আবার অনিশ্চয়তার রাহুগ্রাসে পতিত হবে। সে সাথে রাজনৈতিক সংকীর্ণ স্বার্থে ইমরানকে হটানোর জন্য যারা একাট্টা হয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, তাদের জন্য তা হবে নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারা।
এখন যে প্রশ্নগুলো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তাহলো, কী হবে ইমরান খানের? তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী? তিনি কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন? উদ্ধার করতে পারবেন হৃত সিংহাসন? পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠে তিনি ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটিয়ে আবার কি অল রাউন্ডার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন? পাকিস্তানের অনেক শাসক ক্ষমতা ত্যাগের পর হয় জেলে গেছেন, না হয় বিদেশে নির্বাসিত হয়েছেন। নওয়াজ শরীফ, বেনজীর ভূট্টো, পারভেজ মুশাররাফ, আসিফ আলী জারদারি রয়েছেন এই তালিকায়। জুলফিকার আলী ভূট্টোকে ঝুলতে হয়েছে ফাঁসির দড়িতে। সামরিক শাসক জিয়াউল হককে প্রাণ দিতে হয়েছে বিমানে রাখা বোমার বিস্ফোরণে। ইমরান খানও কি তেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন? এসব প্রশ্ন রাজনীতি সচেতন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। একটি বিষয় স্পষ্ট যে, অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়ে ইমরান একটি নজির সৃষ্টি করেছেন। তিনি যে জনরায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পান না, সে প্রমাণ দিয়েছেন। তার এ সাহসী সিদ্ধান্তই তার জনপ্রিয়তার পালে নতুন হাওয়া লাগিয়েছে।
ইমরান খানের ভবিষ্যত নিয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তার কর্মপন্থা এবং কৌশলই তা নির্ধারণ করবে। আবার এ প্রশ্নও রয়েছে, বিরোধীরা ইমরান খানকে রাজনীতির পিচ থেকে আউট করতে গিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দিল কিনা। সুতরাং এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই- ইমরান খান পরাজিত হলেন, নাকি বিজয়ী।
লেখকঃ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।