ইকমার্সের দায় নিয়েই সমাধানের চেষ্টা করছি: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : 2021-09-22 21:06:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
ইকমার্সে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় নিয়েই কিভাবে সমাধান করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের কাজ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা।
কিন্তু তারা যে মানুষকে লোভ দেখাচ্ছেন সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে না। ১শ টাকার জিনিস তারা ৫০ টাকায় দিতে চায়, সেটা কিভাবে সম্ভব! মানুষ লোভ সম্বরন করতে পারেনি। লোভ সম্বরন করা দরকার।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে পর্যালচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন ইভ্যালিসহ ই-কমার্সের দায়ভার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন দায় এড়ানো যায় না, আমরা দায় এড়াতে চাচ্ছি না। এজন্যইতো সভাগুলো করছি আমরা। একটা ঘটে গেছে বলেই যেসব নষ্ট হয়ে যাবে বন্ধ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। আমরা দায় নিচ্ছি যে, আগামীতে হাজার হাজার লক্ষাধিক লোক ইকমার্সের ওপর বেঁচে আছে। তাদেরতো আমরা ডুবাতে পারবো না। এজন্য দায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে সমাধান করা যায়।
এর আগে আজ দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ইকমার্সের প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায় নিতে হবে। টাকা-পয়সার বিষয়ে একটা প্রশ্ন এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাকা-পয়সা বিষয়টা দেখে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইভ্যালির সম্পদ কতটুকু আছে সেটা শুনতে হবে, সেই আলোচনা করতে হবে। তাদের জেলে ভরে রাখলে তো কিছু পাবে না তারা। আবার কিছু না থাকলে বের করলেও লাভ হবে না। দেশে ২ হাজার ব্যবসায়ী ছিলো না, এখন ২ লাখ ব্যবসায়ী হয়েছে। যে সসমস্যা হয়েছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ১০/১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এছাড়া আমরা নজরদারি রাখছি। কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মালিক জেলে আছে। আরো কিছু কোম্পানির কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, অনেকে যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী তারা অনেকে ইকমার্সে যুক্ত হয়েছে। তাই ইকমার্স বন্ধ করা যাবে না। যারা চিটিং করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটি একটি বিষয় এবং সামনে কিভাবে চলা যায় সেটি একটি বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, গত ৪ জুনের আগে ৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এখন বাকি চার মাসে ৬শ কোটি টাকা স্ক্রো ফান্ডে জমা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো ১২ টাকার জিনিস ১ টাকায় দেওয়া যায় না। এ ধরনের বড় কোম্পানিকে এখন থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ইভ্যালির ৫শ কোটি টাকার দায় রয়েছে। অর্ধেক কাস্টমার, অর্ধেক মার্চেন্টদের। শুনেছি ৮০/৯০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাদের চিন্তা চেতনা কী সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। এগুলো আজকের আলোচনায় এসেছে। ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের টাকা শোধের এবিলিটিই নেই। তারা প্রচারের জন্য ব্যাপক টাকা বিনিয়োগ করেছে। ক্রিকেট খেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা নষ্ট করেছে।