ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যু

প্রকাশ : 2024-01-09 12:49:38১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যু

রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে শিশু আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ডাক্তারি সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান আকন্দ মাসুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রাজধানীর বাড্ডার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে এসেছিল শিশু আয়ান। সাধারণ একটা অস্ত্রোপচার করাতে এসে  মুমূর্ষু অবস্থা পাঁচ বছরের এ শিশুর। উন্নত চিকিৎসার জন্য  তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে। স্বজনদের অভিযোগ, এনেসথেসিয়া প্রয়োগের ভুলের কারণে শিশু আয়ানের জীবন  সংকটাপন্ন অবস্থায়।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা মাদানী অ্যাভিনিউয়ের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার পূর্ববর্তী এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়। তিনদিন পার হয়ে গেলেও শিশু আয়ানের জ্ঞান ফিরে আসে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটিকে এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ডা. সাব্বির আহমেদ। আর সার্জারি করেছেন ডা. মেহজাবীন। 

গত সোমবার (৮ জানুয়ারি)লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আয়ানকে গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রশ্ন উঠে, ‘পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা, তাকে যে ফুল এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছে, তার অভিভাবক থেকে কি অনুমতি নেওয়া হয়েছে? আমিও আমার বাচ্চার সুন্নতে খৎনা করেছি, তাকে তো ফুল এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়নি। তাহলে আয়ানকে কেন দেওয়া হয়েছে?  এটা কেমন অমানবিক কাজ?’

শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে।

কমিশন মনে করে, চিকিৎসকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কারও মৃত্যু বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিযোগের নিবিড় তদন্তপূর্বক সত্যতা যাচাই করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি এবং একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায় করা আবশ্যক। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তপূর্বক অনতিবিলম্বে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হলো। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

 

সা/ই