ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
প্রকাশ : 2021-08-22 20:21:53১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন আমলে নিয়ে তা গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের নাজির কামরুল হাসান। রোববার বিকালে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম, এসআই শাহজালাল মল্লিক ও ইউএনও’র বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বরিশাল সিটির প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং ইউএনও মুনিবুর রহমান ও আনসার সদস্য সহ ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুটি মামলাই আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে একই আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারা হেফাজতে রেখে সুচিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রফিকুল ইসলাম খোকন এবং মো. বাবুলের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধা দান, বিনা উসকানিতে বিসিসির কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানি এবং ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আবেদনে ইউএনও ছাড়াও ১৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ আরও ৪০-৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে তিনি দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য রয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। একই সঙ্গে তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেন অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।