আসছে শৈত্যপ্রবাহ
প্রকাশ : 2025-12-03 13:00:34১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। কয়েকদিন ধরেই ক্রমান্বয়ে কমছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে হিমেল বাতাস। ফলে দেখা দিয়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই জেলার যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুধু আজকেই নয়, এই তাপমাত্রা চলতি শীত মৌসুমে সারা দেশের মধ্যেই সর্বনিম্ন। আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই মাসেই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে শৈত্যপ্রবাহ।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার এবং গড় আর্দ্রতা ৮১ শতাংশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এই জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের যে জেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে তার মধ্যে উত্তরের জেলা দিনাজপুর অন্যতম। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ জেলায় শীতের প্রভাব বরাবরই তুলনামূলক বেশি হয়। গত কয়েকদিন থেকে ক্রমেই নামছে এ জেলার তাপমাত্রার পারদ।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন ঠিকভাবে কাজে বের হতে পারছেন না। ফলে তাদের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে। আর দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই শীতের সময়ে লোকজন কাজে বের হতে পারছেন না। এখন সবজি খেতে বেশ কাজ। কিন্তু শীতের কারণে মানুষজন কাজে আসছেন না। আমি নিজেও কাজ করতে পারছি না।
সদরের মোস্তানবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই মৌসুমটা বেশ কষ্টের। এই মৌসুমে তীব্র শীতের কারণে আমরা কাজে যেতে পারি না। একদিন কাজ করলে একদিন বসে থাকতে হয়। ফলে আমাদের রোজগার কম হয়।
নিমতলা এলাকায় কথা হয় অটোচালক প্রদীপ রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এই শীতে অটো নিয়ে বের হতেও সমস্যা হয়। খুব সকালে বেশি লোকজন থাকে না, রাস্তাঘাট ফাকা। আবার রাত একটু গভীর হলেই লোকজন শূন্য। দিনের সময়টাতে যে ভাড়া পাওয়া যায় আরকি।
একই এলাকায় অটোচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই শীতের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বাতাস হলে। দুই দিন ধরে একটু বাতাস বইছে। ফলে আমাদের অটো চালাতেও সমস্যা হচ্ছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডিসেম্বর জুড়েই তীব্র শীত দেখা দেবে। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমছে এবং শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারেও বলে জানান তিনি। এই মাসেই এই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে।
কা/আ