আরও ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮২

প্রকাশ : 2022-02-20 18:34:18১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আরও ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮২

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৯৬৫ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জন। মৃত ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও সাতজন নারী।  রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ২৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৮টি, জিন এক্সপার্ট ৫৭টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৮৪টি।  

এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫ হাজার ৪১১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৮৬৭টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের একজন ও রংপুর বিভাগের একজন।  

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের আটজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৮৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৮৭ হাজার ৭৯০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫২ হাজার ২০৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।