আমার ড্রাইভার ২০ ছবিতে গাড়ির দরজা খুলেছে, তাকেও কি সদস্য বানাব?
প্রকাশ : 2022-01-18 10:17:49১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
১৮৪ জন চলচ্চিত্রশিল্পীর ভোটপ্রদানের ভাগ্য ঝুলে আছে আদালতের রায়ের ওপর। এরইমধ্যে উচ্চতর আদালত সাধারণ সদস্য পদ স্থগিত করা কেন অবৈধ হবে না- মিশা সওদাগর-জায়েদ খান কমিটির কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
বাদ পড়া ওই সব শিল্পী ২০১৯ সালের নির্বাচনে তারা ভোট প্রদানে বিরত ছিলেন। এখন অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন এফডিসিতে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান।
তিনি বলেছেন, ‘১৮৪ জনের সংখ্যাটাই ভুল। সংখ্যাটা ১৩০-এর মতো হবে। আমি এক্স্যাক্ট ফিগারটা না দেখে বলতে পারব না। তবে ১৩০-এর আগে-পিছে হবে। আর ১৮৪ সংখ্যটা নিয়ে সবাই লাফালাফি করছে না জেনে। ১৮৪ জনের মধ্যে সদস্য হিসেবে আবেদনকারীও রয়েছে।'
জাায়েদ খান বলেন, ‘কাউকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনেই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ শিল্পী সমিতির সদস্য হতে হলে অভিনয়শিল্পীর একটি মানদণ্ড থাকা দরকার। ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেই শিল্পী সমিতির সদস্যপদ পাওয়া যায় না।’
তার ড্রাইভারও ২০ ছবিতে অভিনয় করেছেন জানিয়ে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘সদস্য হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে কিভাবে তাদের সদস্য করব? আমার ড্রাইভার তো ২০টি সিনেমায় গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছে, তাহলে কি তাকেও সদস্য বানাব? এ রকম দরজা খুলে দেওয়ার মতো ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছে যারা, তাদের তো এখনই সদস্য করতে পারি না। নিয়ম আছে, সংবিধান অনুযায়ী তাঁদের সদস্যপদ দেওয়া হবে।
এদিকে, আসছে ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুই প্যানেল ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার ও মিশা সওদাগর-জায়েদ খান। এ উপলক্ষে শিল্পী সমিতির নির্বাচন সামনে রেখে দিনরাত সরগরম থাকছে এফডিসি। চলচ্চিত্রের শিল্পীরা যার যার নিজেদের প্যানেলের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কাঞ্চন-নিপুণের প্যানেলে এবার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ডি এ তায়েব। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সাইমন সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমন, কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান। এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য হলেন অমিত হাসান, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান, নানা শাহ, আফজাল শরীফ, সাংকো পাঞ্জা, জেসমীন, কেয়া, পরীমণি, গাঙ্গুয়া ও সীমান্ত।
অন্যদিকে, মিশা-জায়েদ প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়ছেন ডিপজল ও রুবেল। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সুব্রত, সাংগঠনিক সম্পাদক আলেক জান্ডার বো, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে লড়বেন ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য হলেন রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, আলীরাজ, আসিফ ইকবাল, বাপ্পারাজ, নাদের খান, চুন্নু, হাসান জাহাঙ্গীর।