আবারও পেছাল সিনহার মামলার প্রতিবেদন
প্রকাশ : 2022-05-25 12:59:21১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় গত ৩১ মার্চ এসকে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) এসকে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুস হিসেবে যেসব টাকা গ্রহণ করেছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এস কে সিনহা তার নিজ নামে রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে একটি প্লট বরাদ্দ পান। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে তার আরেক ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার আরও একটি প্লটের জন্য আবেদন করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভাইয়ের নামে আবেদন করা ওই তিন কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পরে তিন কাঠার প্লটটিকে আবারও প্রভাব খাটিয়ে পাঁচ কাঠার প্লটে রূপান্তর করার অভিযোগ আছে সাবেক এ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে।
এছাড়া সাবেক ফারমার্স ব্যাংক বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় আলাদাভাবে এস কে সিনহাকে চার বছর এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।