আদাবরে নিখোঁজ তিন বোন যশোরে অসুস্থ বাবার কাছে

প্রকাশ : 2021-11-19 19:55:20১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদাবরে নিখোঁজ তিন বোন যশোরে অসুস্থ বাবার কাছে

রাজধানীর আদাবর থেকে নিখোঁজ তিন বোনের অবস্থান শনাক্ত করেছে র‍্যাব। বর্তমানে তারা যশোরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত বলেন, ‘গতকাল তিন বোনের নিখোঁজের তথ্য পাওয়ার পর থেকেই আমাদের অপারেশন চালু ছিল। আজ সকাল ১১টার দিকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তাদের অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য তারা খালার বাসা থেকে না বলে বের হয়ে যশোরে তার বাবার বাড়িতে গিয়েছে। তাদের এই না বলে চলে যাওয়াটা একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে যে, তারা কোন বিপদে পড়েছে কি না।’

তাদের খালা কি নির্যাতন করতো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এরকম কোন কিছু না। তারা মূলত অসুস্থ বাবাকে দেখতেই যশোর গিয়েছে। তাদের সঙ্গে সরাসরি এখনও কথা হয় নাই। এই তিন বোন, তাদের বাবা ও চাচার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছি। তারা ভাল আছেন। এই তিন বোনের মা মারা যাওয়ার পরে তারা ঢাকায় খালার বাসায় থাকেন।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে এসএসসির দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন বোন নিখোঁজ হয়। সকালে আদাবরের শেখেরটেকে খালার বাসা থেকে তারা তিনজন বের হয়েছিল। তারা সবাই টিকটকে আসক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তাদের খালা আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নিখোঁজ তিন বোনের খালা বলেন, ‘আমার বড় বোন তিন বছর আগে মারা গেছেন। আর দুলাভাই অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। আমার ছোট বোনের বাসা খিলগাঁওয়ে থাকত তারা। দুই জনের এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার ছিল ধানমন্ডি গার্লস হাই স্কুলে। সে কারণে আদাবরে আমার বাসায় নিয়ে আসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য।

‘একটি পরীক্ষা হয়েছে আরও দুটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই তারা হঠাৎ তিনজন বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। আর অন্য বোন ভোকেশনাল পাস করেছে। যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে একটি কোর্স করছিল সে।’

তিনি আরও জানান, তার তিন ভাগ্নি টিকটকে আসক্ত ছিল। টিকটকের মাধ্যমে কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন তিনি।

তারা পরিকল্পিতভাবেই বাসা থেকে বের হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যাবার সময় তাদের বই-খাতা, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজিস্ট্রেশন ফর্মসহ সবকিছু নিয়ে গেছে। কোথায় গেছে, কী জন্য গেছে- এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কোনো তথ্য না পাওয়ায় আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমার ভাগ্নিরা যেন নিরাপদে ফিরে আসে- এটাই আমার চাওয়া।’