আদমদীঘি থানা সংলগ্ন গ্রামে ১৭ দিনে পুড়ল ১৪ খড়ের পালা

প্রকাশ : 2023-02-28 12:04:31১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘি থানা সংলগ্ন গ্রামে ১৭ দিনে পুড়ল ১৪ খড়ের  পালা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের থানা সংলগ্ন তালশন গ্রামের কেশরতা গ্রামে ১১ দিনে ৮ কৃষকের ৭০ বিঘা জমির ১১ খড়ের পালা পুডিয়ে দেওয়ার ৬ দিন পর রবিবার রাতে ২ তালশন গ্রামের জনৈক এক কৃষকের খড়ের পালা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার পোড়ানো হয়েছে ১০ বিঘা জমির আমন ধানের খড়। ১৭ দিনে থেমে থেমে ও লাগাতার ভাবে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের পুড়িয়ে দেওয়া ৭০ বিঘা জমির ১১ পালার খড়ের বাজার মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। এতে করে তালশন গ্রামের বাসিন্দারা আতংকিত হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্য সংকটে পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।

জানা গেছে প্রথমে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা আদমদীঘি থানা সংলগ্ন তালশন গ্রামের পালপাড়ার শ্যামল দাসের ১৪ বিঘা জমির দুই খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পর দিন রাতে আনন্দ পালের ১২ বিঘা জমির ২ খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি  রাতে রনজিৎ পালের ৫ বিঘা, পরের রাতে নিতিশ পালের ৪ বিঘা, ১৬ ফেব্রুয়ারি  রাতে বিধান মন্ডলের ৩ বিঘা, পরের রাতে নুমু মন্ডলের ১০ বিঘা, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রভাস দাসের ১০ বিঘা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তালশন গ্রামের কৃষক বাপ্পির ৬ বিঘা এবং মুসলিম উদ্দিনের ৪ বিঘা জমির খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় অজ্ঞাত দুর্বত্তরা। গত কয়েক দিন পূর্বে কেশরতা গ্রামের আব্দুল করিম শেখের প্রায় ২০ বিঘা আমন খড়ের পালা পুড়িয়ে দেয় অজ্ঞাত দুর্বত্তরা। আদমদীঘি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার রুহুল আমিন গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ওই সব অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ওই গ্রামে রাতের অন্ধকারে একের পর এক খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্য রেজাউল করিম রেজা বলেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।