আদমদীঘি জংশন স্টেশনে চড়ুই পাখির অভয়ারণ্য
প্রকাশ : 2022-10-23 18:57:42১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সূর্যান্তের সময় হলেই চড়ুই পাখিদের ঘরে ফেরা, চড়ুই পাখিদের মনোমুগ্ধকর ডাকে মুগ্ধ হয়ে উঠে অপেক্ষারত ট্রেন যাত্রী ও আশেপাশের মানুষজনদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অবস্থিত বিভিন্ন গাছে রয়েছে হাজার-হাজার চড়ুই পাখির বসবাস। প্লাটফর্ম ও ষ্টেশন এলাকায় প্রায় সবগুলো গাছেই রয়েছে এই পাখিগুলোর বসবাস। পাখিদের কেউ শিকার বা বিরক্ত না করায় রেলওয়ে স্টেশনটি হয়ে উঠেছে তাদের অভয়ারণ্য। প্রভাতের প্রথম আলোর খাবারের খোঁজে বেরিয়ে যায় এসব চড়ুই পাখি এবং সারাদিন পরে সন্ধ্যায় গোধূলি লগ্নে এক সাথে কয়েক হাজার পাখির ঘরে ফেরে। সন্ধ্যার সময় পাখিদের এই গাছ গুলোতে ফেরার সময় তাদের মনোমুগ্ধকর ডাক এবং এক সাথে অনেক গুলো পাখির আগমন দেখার জন্য স্টেশনে আগমন হয় অনেক দর্শনার্থীর।
স্টেশনে এলাকায় বিচরনকারী অনেকেই বলেন, স্টেশন এলাকার কাছে এলেই হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই বিভিন্ন গাছে চড়ুই পাখি তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতো গুলো চড়ুই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল করে মন।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, স্টেশন সংলগ্ন আমাদের অফিস কার্যালয় হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন এই সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ হয়ে থাকে, বিশেষ করে রাতে ল্যাম্প পোস্টের আলোয় এসব গাছের দিকে তাকালে মনে হয় গাছে গাছে অসংখ্যক ফল ধরে রয়েছে। এসব পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে সে বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেশনের আশেপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা সব সময় ল¶্য রাখে। যার ফলে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করায় দিন দিন স্টেশনের প্রতিটি গাছেই বৃদ্ধি পাচ্ছে চড়ুই পাখির সংখ্যা।
সান্তাহার স্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, পাখিদের প্রতি রয়েছে আমার ভালোলাগা ও ভালোবাসা। স্টেশনে এত পাখি দেখতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি যাতে এই পাখি গুলোকে কেউ বিরক্ত বা শিকার করতে না পারে। এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর এ নবী বলেন, পাখি ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি ও আমার নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্যরা সার্বিক দৃষ্টি রাখে যাতে এই সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে না পারে। কারন এক সময় চড়ুই পাখি সর্বত্র দেখা যেত, এখন অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার কারণে তার কদর বেড়ে গেছে৷