আদমদীঘির নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য ও স্ত্রীকে নির্যাতন স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশ : 2024-11-11 17:57:38১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘির নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য ও স্ত্রীকে নির্যাতন স্বামী গ্রেফতার

বগুড়ার আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত নাশকতা মামলায় পুলিশ উপজেলা সদর ইউপি সদস্য আ’লীগ নেতা ফজলুর রহমান সরদার (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য উপজেলা সদরের কুসুম্বী গ্রামের সেকেন্দার আলী ছেলে। গত রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কুসুম্বী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় আওয়ামীলীগের ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলো।   

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৫ আগষ্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার আদমদীঘিতে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মাহবুর মন্ডল (৪২) উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের শিতলাই গ্রামের মোকলেছার মন্ডলের ছেলে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৮ বছর আগে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের শিতলাই গ্রামের মোকলেছার মন্ডলের ছেলে মাহবুর মন্ডলের সঙ্গে পাশ্ববর্তী দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ের ধর্মীর ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর নিজ স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন স্ত্রী। গত ২৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করে স্বামী। এরপর তার স্ত্রী যৌতুক এনে দিতে রাজী না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায় তাকে মারধর করেন স্বামী। পরে অসুস্থ অবস্থায় আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় স্ত্রী। এরপর আইনী ভাবে সহায়তার জন্য আদমদীঘি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী নিজেই। পরে মামলার তদন্তে রবিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে মাহবুর মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।