আদমদীঘির দুঃখ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং, ১২ ঘন্টা-ই থাকে বন্ধ

প্রকাশ : 2021-11-06 19:42:45১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘির দুঃখ রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং, ১২ ঘন্টা-ই থাকে বন্ধ

একদা চীনের যেমন দুঃখ ছিল হোহাংহো নদী। তেমনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের দুঃখ রেলওয়ে লেভেলে ক্রসিং। শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে এই রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং। সে এক মহা বিরম্বনা। শতাধিক বছর ধরে চলা এই দুঃখ দুরীকরণে কার্যকরি উদ্যোগ নেয়নি কেউ। দিন-রাতের মধ্যে অর্ধেক সময় ব্যয় হয়ে যায় রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের ভয়াবহ যানজটে। 

জানা গেছে, ২৪ ঘন্টায় সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলে প্রায় ৪০ ট্রেন যাতায়াত করে। প্রতিটি ট্রেন আসা এবং যাওয়ার আগে পরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে বন্ধ থাকে লেভেল ক্রসিং। এসময় শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা ছাত্র-ছাত্রী বিশেষ করে শিশু ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অবিভাকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের দুঃসহ যানজট নিরসনে সম্প্রতি পৌর সভা থেকে পশ্চিম ঢাকা রোড থেকে পুর্ব ঢাকা রোড পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈঘ্যের ফোর লেন এবং দুই নম্বর রেলগেট থেকে উত্তর দিকে নওগাঁ-বগুড়া বাইপাস সড়কের পৌঁওতা রেলগেট পর্যন্ত ৬ শ’ মিটার শাখা বাইপাস সড়ক করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব চলতি বছরের প্রথম দিকে জমা দেওয়া হয়েছে। আবার শহরের পুর্ব পাশে যানজটের আরেক কারন সিএসডি খাদ্য গুদাম। 

খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে সরকারি খাদ্যবাহী যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রনালয়ের প্রকল্প পরিচালক চলতি বছরের প্রথম দিকে সরেজমিন করেছেন। সান্তাহার পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, এই প্রকল্পের পরিচালক শহরের পৌঁওতা মহল্লা দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মানের প্রাথমিক ন·া করেছেন। খাদ্য বিভাগের এই বাইপাস সড়ক নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সেটি এবং দুই নম্বর রেলগেট থেকে বিকল্প বাইপাস বাস্তবায়ন করা হলে সেটিও পড়বে রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের বিরম্বনায়। মোট কথা এখানকার অবস্থা এমনই যে রেলকে বাইপাস করার যেন কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে এক মাত্র উপায় উড়াল সড়ক অথবা পাতাল সড়ক নির্মান করা। 

সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা সহকারি অধ্যাপক রবিউল ইসলাম রবীন বলেন, এমন বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারি দলের এম,পি’র বিশেষ উদ্যোগ এবং দৌড়-ঝাঁপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ১৯৭৫-এ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গত ৪৫ বছর ধরে বগুড়া-৩ আসনে (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আওয়ামীলীগ থেকে কোন এমপি মেলেনি। তবে খাদ্য বিভাগ এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যেহেতু নড়াচড়া শুরু করেছেন সেহেতু জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি জাতির জনকের কন্যা মানবতার মা খ্যাতি অর্জন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে পরলে সান্তাহার জংশন শহরের শত বছরের দুঃখ দুর হবে বলে দৃঢ ভাবে আশা করছি।