আদমদীঘির জেসমিন আক্তার এখন জুবায়েদ
প্রকাশ : 2021-03-27 18:48:32১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দশম শ্রেণী পড়ুয়া জেসমিন আক্তার নামের এক স্কুল ছাত্রী অলৌকিক ভাবে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এমন অলৌকিক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে। জেসমিন আক্তার নামের এক পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হবার পর কৌতুহলি জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন জেসমিন আক্তারকে স্ত্রী মরিয়মের পেটে রেখে বিদেশে যান। ২০০১ সালে জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানীর বাড়ি উপজেলার শাওইল গ্রামে বসবাস করতেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। বর্তমানে শাওইল দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করতেন। গত দুই বছর পূর্বে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ করতেন আর তাদের সংসারে এক মেয়ে এক ছেলে ছিলো। এদিকে গত চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কন্ঠস্বর হতে থাকে। তার পর থেকে তার আচার-আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শরীরির গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হন।
শনিবার লক্ষীপুর গ্রামের সরজমিনে গিয়ে জেসমিন আক্তারের বাবা জালাল হোসেন মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বড় মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।
এব্যাপারে জোবাইদ মন্ডল জানায়, গত তিন মাস ধরে তার শারীরিক পরিবর্তন হওয়া শুরু করে। গত দেড় মাসের মধ্যে সে পুরোপুরি ছেলেতে পরিনত হয়। ঘটনাটি তার নানা মোবারক আলীকে জানালে ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালে ডা. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে পরীক্ষা নীরিক্ষা করান। ডাক্তার বলেন তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমান পুরুষ হরমন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হয়েছে। ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এমনটি হয়ে থাকে।