আদমদীঘিতে ‘লকডাউনের’ অজুহাতে তরমুজের দাম দ্বিগুণ
প্রকাশ : 2021-04-26 19:07:00১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘিতে ‘লকডাউনের’ অজুহাতে তরমুজের দাম দ্বিগুণ। ভরা মৌসুমে তরমুজের এমন দ্বিগুণ দাম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণরা। উপজেলার বাজার গুলোতে মাঝারি ধরনের একটি তরমুজের দাম হাঁকাচ্ছেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রমজানের আগে সেই মাঝারি সাইজের তরমুজের দাম ছিল মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকা। চলমান লকডাউন ও রমজান কে সামনে রেখে তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। বর্তমানে মধ্যম সাইজের একটি তরমুজ আদমদীঘি বাজারে ৩০০থেকে ৪০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সামান্য বড় সাইজ হলেই তার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ভোক্তা অধিকার আইনের প্রয়োগ ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবী জানান এলাকার ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান ও বাজার ভেদে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, যা রোজা শুরু হওয়ার আগে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। আর এবার বাজারে প্রথম যখন তরমুজ আসে, সে সময় কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। তরমুজের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, একদিকে রোজার কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে তরমুজের গাড়ী পরিবহনে গুণতে হচ্ছে আমাদের দ্বিগুণ ভাড়া। তারা আরও বলেন, তরমুজের মৌসুম খুব বেশি দিন থাকে না। দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায়। আমাদের এলাকায় সবচেয়ে বেশি তরমুজ আসে বরিশাল থেকে।
উপজেলার সদরের তরমুজ বিক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের দাম বেশি। গত বছর এমন সময় ৬-৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায়। এবার পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রিই হয়নি। শুরু থেকেই কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, বাজারে যখন তরমুজ নতুন আসে তখন বিক্রি করেছি ৫০ টাকা কেজি হিসেবে। রোজার আগেও ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। কিন্তু গত ৪/৫ দিন ধরে যে দামে কেনা পড়ছে তাতে বড় তরমুজের কেজি ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না।