আদমদীঘিতে ৫ মাদক ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করল বিক্ষুদ্ধ জনতা
প্রকাশ : 2024-09-28 18:40:56১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
শনিবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার শহরের এক এলাকায় মাদক বিরোধী বিক্ষুব্ধ জনতা বসতবাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করেছে পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে। সুধি সমাবেশ এবং মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়ার ১০ দিন অতিবাহিত হবার পরও মাদক ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে থাকে। একারনে গত শুক্রবার ফের মাদক বিরোধী সুধি সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ চলার সময় উপস্থাপক মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে থাকে। এসময় সমাবেশের প্রধান অতিথি সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি এবং সদ্য সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর উপস্থিতিতে জিনাত নামের এক নারী মাদক কারবারি তার ভাগিনাকে নিয়ে উপস্থাপক মানিক হোসেনের উপর হামলা চালায়। একারনে আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী। ফলে গতকাল শনিবার ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা ও জংশন শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের চাবাগান মহল্লার হরিজন কলোনীর উত্তর ও দক্ষিন পাশে রেলওয়ের জায়গায় বসতবাড়ি তৈরি করে ১৭ মাদক ব্যবসায়ী গত প্রায় দুই যুগ ধরে হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল এবং নেশা জাতীয় ইনজেকশন এ্যাম্পুল ব্যবসায়া চালিয়ে আসছে অবাধে। এনিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হলেও বিগত সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা কর্মী, জনপ্রতিনিধি মাদকদব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে ৯ সেপ্টম্বর সুধি সমাবেশ করে মাদক ব্যবসায়ীদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এরপর একই ব্যানারে মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে ফের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। কিন্তু কোন কর্ণপাত করেনি মাদক কারবারিরা। এতাবস্থায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে শনিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এদিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মুল বা বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত রহিমা বেগম শুটকি, তার বেয়াইন হামিদা বেগম ও তার পবিরার, মিনহাজ-জুলি, শাহিন ও টুকু নমের মাদক ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি থেকে সব রকমের আসবাব বের করে দিয়ে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করে। মাহবুব আলম নামের মাদক বিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবশিষ্ট ১২ মাদক ব্যবসায়ীকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ফের সময় হয়েছে। তারা সেচ্ছায় চলে না গেলে তাদেরও বসতবাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হবে।