আদমদীঘিতে শৈল্পিক কারুকার্যে দেবী দূর্গা'র প্রতিমা তৈরীতে মহা ব্যস্ত কারীগর'রা
প্রকাশ : 2025-09-11 18:41:13১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক

আকাশে বাতাশে চারিদিকে বইছে শরৎ এর আগমনী বার্তা। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দূর্গা উৎসবের আগমনে বাঙ্গালী'র ঘরে ঘরে বইছে আগাম আনন্দের বন্যা। সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘিতে শারদীয় দূর্গা উৎসবকে সামনে রেখে মন্ডবে মন্ডবে ইতিমধ্যে দেবী দূর্গা'র প্রতিমা তৈরীতে মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পী কারীগর'রা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্টী'র মধ্য দিয়ে ৫ দিন ব্যাপী চলবে পুজোর উৎসব। ২ রা অক্টোবর বিজয়া দশমী'র মধ্য দিয়ে শেষ হবে দেবী দূর্গা'র পুজো। আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন মন্ডব ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎশিল্পী কারিগররা বাঁশ, খড়, মাটি, ধানের গুড়া সহ নানা রকম উপকরণ দিয়ে স্বর্গলোকের দেবী দূর্গার প্রতিমা সহ শিব, গনেশ, কার্তিক, লক্ষী, সরস্বতী, সিংহ, মহিষ, ময়ুর, ইদুঁর, পেঁচা তৈরীর কাজে মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৃৎশিল্পী কারিগররা। প্রতিমা তৈরীর কারিগররা জানায়, পুজোর আর বেশী সময় নেই। তাই তারা কাঁদা মাটি যুক্ত মাটি দিয়ে নানা ধরনের কারুকার্যে স্বর্গলোকের দেবী দূর্গা সহ তার সঙ্গীদের প্রতিমা তৈরীর কাজ আগে ভাগেই শুরু করেছে। কেননা মাটির তৈরী প্রতিমা গুলো রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হয়। প্রায় মন্ডব গুলোতে ইতি মধ্যে মাটির কাজ শেষের দিকে। উপজেলার সান্তাহার পুরাতন বাজার সার্বজনীন দূর্গা মন্ডবে গিয়ে প্রতিমা তৈরীর কারিগর রনজিৎ সরকারের সাথে এ প্রতিনিধি'র কথা হলে মৃৎশিল্পী রনজিৎ বলেন, তার বাড়ী বগুড়া'র কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ভেকরা গ্রামে। ছোট বেলা থেকেই প্রতিমা তৈরীর প্রতি তার মনোযোগ হয়। শৈল্পীক কারুকার্য শেখার জন্য সে ভারতে নদীয়াতে এক মৃৎশিল্পীর কাছে কিছু দিন কাজ শিকে দেশে ফিরে প্রতিমা তৈরীর কাজে নেমে পড়ে। প্রতি বছর সে প্রতিমা তৈরী করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে।আদমদীঘি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিত দেবনাথ বাপ্পা সাধারন সম্পাদক মিহির কুমার সরকার জানান, এবার আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ৬৫ টি মন্ডবে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার প্রতিটা মন্ডব কমিটির নের্তৃবৃন্দকে রাতের বেলা প্রতিমা গুলো দেখভালের জন্য পাহারার দেয়ার পাশাপাশি প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় রাখতে নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনর্চাজ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুজা মন্ডব গুলোর সুরক্ষা দিতে ইউনিয়ন বিট পুলিশের দ্বায়িত্বে থাকা থানার পুলিশ অফিসারগন সার্বক্ষনিক প্রতিটি মন্ডব পরিদর্শনের পাশাপাশি পুজা মন্ডবের কমিটির নের্তৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোন ঘারতি নেই।