আদমদীঘিতে শাহীন-তহিদুলের টর্চার সেলে সালিশের নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ : 2023-03-24 13:22:02১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে শাহীন- তহিদুলের টর্চার সেলে সালিশ বৈঠকের নামে আমিনুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে বসা সালিশে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুল ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের ছেলে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে শাহিন ও তহিদুল বনাম আব্দুল কাদের ছেদ্দা ও আমিনুল ইসলাম নামের দুই গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার, মসজিদের টাকা, গভীর নলকূপ মালিকানাসহ নানান বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় যুগ ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাদের মধ্যে প্রায়ই একে অপরকে মারপিট এবং মামলা পাল্টা মামলার ঘটনাও ঘটে আসছে। এদিকে ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর চার ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে বুধবার শাহিন ও তার লোকজন আমিনুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। রাত ১০টার গ্রামের একটি ক্লাব ঘরে (টর্চার সেলে) সালিশ বৈঠকে বসে। সালিশে ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলীর ছেলে শেখরসহ চার ভাইয়ের মধ্যে চলা জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ঘটনা এবং বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার নামে শাহিন কর্তৃক নেয়া সেলামীর কয়েক লাখ টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শাহিনের সাথে আমিনুলের বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমিনুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী রুখসানা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে তার স্বামী প্রথম দিকে সেজদ্দা গ্রুপে ছিল। পরে শাহিন গ্রুপে যোগ দেয়। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহিন মোবাইল ফোনে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সাড়ে ১০ টার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তার স্বামীকে খুন করে লক্ষীপুর গ্রামের ক্লাব ঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার স্বামীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই গ্রাম প্রায় পুরুষ শুন্য হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ফজলে রাব্বী জানান, আমিনুলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল কিন্তু এখানে নিয়ে আসার আগেই সে মারা যায়। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।