আদমদীঘিতে মেয়ে-জামাই সহযোগে ঈদের আমেজে পালন
প্রকাশ : 2021-11-16 18:43:38১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
মাওলানা নামের কিছুু ধর্মান্ধরা বলে থাকেন নবান্ন হচ্ছে হিন্দুদের জন্য। মুসলমান ধর্মের মানুষদের এটা পালন করা জায়েজ নয়। ওদের এধরণের কথা যে মনগড়া এবং ধর্মবিদ্বেসী তার প্রমান মেলে বাংলা অগ্রহায়ন মাসের প্রথম দিন গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে স্বচক্ষে দেখলে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রাম,কসাইগাড়ী,কালাইকুড়ি, সাগরপুর, কাল্লাগাড়ী, কৈকুড়ি, কোমারপুর, কোমারভোগ সহ বেশ কিছু গ্রামে ঘুড়ে দেখা গেল এসব গ্রামে কোন হিন্দু ধর্মাম্বলী নেই। কিন্তু আছে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। এ উৎসব পালন উপলক্ষে প্রতিটি বাড়ীতে জড়ানো হয়েছে মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনি ও নিকটাত্নীয়। উৎসবটি পালন করা হচ্ছে ঈদের আমেজে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ী থেকে বাতাসে ভেঁসে আসছিল উন্নতমানের খাবার বিশেষ করে মহিষ ও গরুর গোস্ত রান্নার সুবাস। নবান্ন উৎসব পালন উপলক্ষে ওই সব গ্রাম সহ আশপাশের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে প্রতি বছরের মত এবারো জবাই করা হয়েছে শতাধিক মহিষ ও গরু। গ্রামের প্রতিটি পাড়ার মোড়ে মোড়ে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী চুড়ি-ফিতা, আলতা ও বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী এবং জিলাপী, রসগোল্লা, চমচম, বাতাসা, মুড়কি,হুরুম ও পাঁপড় ভাজা সহ মূখরোচক নানান পন্যের মেলা। মেলায় কথা হয় চুড়ি ব্যবসায়ী মুনছুর রহমান,মিষ্টি ব্যবসায়ী মামুন ও হুরুম ব্যবসায়ী মোতালেবের সাথে তারা বলেন দীর্ঘ দিন থেকে নবান্ন উপলক্ষে মেলা বসে,আমরা ব্যবসায়ীরা মেলায় দোকান করে আসছি। এছাড়াও প্রতিটি পাড়ায় তৈরী হতে দেখা যায় ম । যেখানে রাতের বেলা বসবে জারি সারি আর পালা গানের আসর।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শালগ্রাম গ্রামে কথা হল আব্দুল হামিদ,আব্দুল মতিন মাজু নামের ব্যক্তির সাথে। তারা কথা প্রসঙ্গে ক্ষুদ্ধস্বরে বললেন -ওরা আসলে মিথ্যা কথা বলে ধর্মপ্রান মানুষকে বিভান্ত করে। নবান্ন কোন ধর্মের নয়, এটা বাঙ্গালীর ঐতিহ্য। পূর্ব পূরুষরাও এ উৎসব পালন করেছে আমরাও করছি। ছেলে-মেয়ে সাথে জামাই আর নাতি-নাতনি ও নিকটাত্মীয় নিয়ে নতুন ধানের চালের ভাত গোস্ত খাওয়ার আনন্দই অন্য রকম। এর সাথে ধর্মের লেজুর জুড়ে দেওয়া ঠিক নয়।
আদমদীঘি উপজেলা কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু বলেন, পুর্ব পুরুষের আমল থেকেই এভাবে নবান্ন উৎসব পালন হয়ে আসছে। আর দিন দিন এউৎসব পালনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট কথা গ্রাম বাংলায় নবান্ন উৎসব পালন করা হয় অনেকটা ঈদের আমেজে।