আদমদীঘিতে বিলে প্রাকৃতিক মৎস্য পোনা উৎপাদনে খনন করা হচ্ছে নার্সারি
প্রকাশ : 2021-04-07 19:07:23১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রক্তদহ বিলে প্রাকৃতিক মৎস্য পোনা উৎপাদনে খনন করা হচ্ছে নার্সারি। উন্মুক্ত বিল জলাশয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে মৎস্য পোনা উৎপাদনে নতুন ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। গ্রহন করা হয়েছে বিল নার্সারি পুকুর খনন প্রকল্প। জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহাসিক রক্তদহ বিল ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিল জলাশয়ে খনন করা হচ্ছে বিল নার্সারি পুকুর।
‘রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য সম্পদ উন্ন্য়ন প্রকল্প’ এর অধীনে এখাতে অর্থায়ন করছে মৎস্য বিভাগ। দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের মৎস্য বিভাগ থেকে উন্মুক্ত বিল জলাশয়ে, কৃত্রিম ভাবে উৎপাদন করা পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়ে আসছে। কিন্তু এব্যবস্থা খুব একটা ফলপ্রসু হয় না। নতুন এই প্রকল্পের বিল নার্সারি পুকুরগুলোতে বড় আকারের পরিপক্ক মা ও ব্রুড মাছ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন পালন করা হবে। প্রাকৃতিক ভাবে সে সব মাছের ছেড়ে দেওয়া ডিম থেকে পাওয়া ধানী পোনা আঙ্গুল সাইজের হবার পর সে সব পোনা উন্মুক্ত বিলে ছড়িয়ে পড়ার ব্যবস্থা করা হবে। ছড়িয়ে পড়া পোনাগুলো বিলের প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হবে। সেই মাছে পাওয়া যাবে প্রাকৃতিক স্বাদ। এমনটাই বলছেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ। রক্তদহ বিলে যে ৪ নার্সারি পুকুর খনন করা হচ্ছে তার প্রতিটির মাপ হবে দৈর্ঘ্যে ৩ শ’ ফুট এবং প্রস্থ্যে ৮০ ফুট। গভীরতা হবে ৬ ফুট। প্রতিটি পুকুর খননের ব্যয় বরাদ্দ রয়েছে ৫লাখ ১৬হাজার টাকা। এদিকে, পুকুর খননে ছয় ফুট গভীরতার পরিবর্তে তিন/চার ফুট করে গভীর করা হচ্ছে বলে ওই বিলের মৎস্যজীবীদের নিকট থেকে অভিযোগ মিলেছে।
এর সত্যতা যাচাই করতে বুধবার দূর্গম এলাকা রক্তদহ বিলে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। ইতি মধ্যে খনন করা দুই পুকুরের গভীরতা অর্ধেক দেখা গেছে। খননকৃত পুকুরের গভীরতা এবং দৈর্ঘ-প্রস্থ্য কম বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল বলেন, ডিজাইনের বাহিরে খনন কাজ শেষ করার কোন সুযোগ নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ মাপ করে সামান্য কম হলেও তা গ্রহন করবেন না।
অপর দিকে, সরেজমিনে আলাপ হয় মৎস্য আহরণকারী রমজান আলী প্রামানিক সহ কয়েক মৎস্যজীবির সাথে। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ভাবে বিলটি জলকর মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ জোড়পুর্বক চাঁদাবাজী করে চলেছেন। কিন্তু রশিদ দেওয়া হয় না। দেওয়া হয়না কোন প্রকার হিসাব। এবিষয়ে ওই মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এবিষয়টি নিয়ে মৎস্য বিভাগের কেউ অবগত নয়। চাঁদা আদান-প্রদানের বিষয়টি তাঁদের নিজেদের ব্যাপার। মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মিন্টু হোসেন ওরফে পিন্টুর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি চাঁদাবাজীর অভিযোগ অ¯ি^কার করে বলেন, সমিতির সদস্যদের নিকট থেকে বিধি মোতাবেক শুধু স য়ের টাকা আদায় করা হয়।