আদমদীঘিতে প্রধান শিক্ষকের মারধরে নিরাপত্তা কর্মি আহত বিচার চেয়ে অভিযোগ
প্রকাশ : 2024-07-08 18:51:33১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘিতে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পারিবারিক কাজ না করা নিয়ে দ্বদ্বে মারুফ হোসেন নামের এক নিরাপত্তা কর্মিকে মারধরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নিরাপত্তা কর্মি বাদি হয়ে আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (৭ জুলাই) আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপির সাওইল দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ে।
নিরাপত্তা কর্মি মারুফ হোসেন জানায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজাজুল হক প্রায় তার বাসায় নিয়ে পারিবারিক কাজ করে নেন। এছাড়া তার ছোট দুই নাতিকে বিদ্যালয়ে এনে দেখভাল করে নিতেন। গত শনিবার (৬ জুলাই) ওই দুই নাতিকে তার মা নিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষ তাকে শারীকির নির্যাতন করেন। এ ঘটনাটি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেনকে জানালে তিনি ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। পরদিন গত রোববার (৭জুলাই) দুপুরে বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় অপর শিক্ষক ও শিক্ষার্তিদের সামনে একই ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথ্যারি ভাবে মারধরে আহত করেন। পরে আহত নিরাপত্তা কর্মি আদমদীঘি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে গত রোববার আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাওইল স্কুলপাড়ার অধিকাংশ ব্যক্তিরা জানান, ওই প্রধান শিক্ষককে ছাত্রকে মারধর সংক্রন্ত বিষয়ে একবার সাসপেন্ট করা হয়েছিল। এছাড়া তিনি নিরাপত্তা কর্মি মারুফ হোসেনকে দিয়ে তার বাড়ির সাংসারিক কাজ ও দুই নাতিকে দেখাশুনার কাজ করাতেন। বিদ্যালয়ের তেমন কাজ করাতেন না।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন জানান গত শনিবারের মারধর ঘটনায় শান্ত করে রাখি। তবে পরের দিনের ঘটনাটি তার জানা নেই বলে দাবী করেন। প্রধান শিক্ষক এজাজুল হককে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তিনি ফোন রিসিপ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ অভিযোগ পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।