আদমদীঘিতে পিকনিকের খাবারে গোবর দেওয়া এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত
প্রকাশ : 2024-05-22 20:52:57১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করার অভিযোগে উপজেলার পল্লীতে পিকনিকের খিঁচুরিতে ছাগলের গোবর ও আবর্জনা দিয়ে খাবার নষ্ট করা উপজেলা সহকারি কমিশনার [ভ‚মি) ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক [রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করা সংক্রান্ত বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার [ভ‚মি) ফিরোজ হোসেন। গত রবিবার [১৯ মে) রাতে অভিযান পরিচালনা করার এক সময় তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেশরতা গ্রামে যান। তিনি ওই গ্রামের দীঘিপাড়া গিয়ে প্রায় ৭০ শিশু, নারী ও পুরুষের জন্য পিকনিকের খিঁচুরি রান্না করতে দেখেন। তিনি ওই আয়োজনটি কোন প্রার্থীর পক্ষে করা হচ্ছেসহ নানা বিষয়ে জেরা করার এক পর্যায়ে তাঁর গাড়ি চালক হযরত আলীকে খিঁচুরি নষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে গাড়ি চালক হযরত আলী ওই স্থানের খলিয়ানে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা ছাগলের গোবর ও খড়সহ নানা আবর্জনা দিয়ে খাবার নষ্ট করে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে আসেন। একজন বিচারকের প্রয়োজনীয় আইন প্রয়োগ না করে অমানবিক ভাবে ঘটানো এঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানার পর বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক [রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিনকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি গতকাল বুধবার দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে বেলা তিনটা পর্যন্ত গ্রামবাসীর মৌখিক ও লিখিত জবানবন্দি গ্রহন করেন। এসময় গ্রামবাসী অভিযুক্ত সহকারি কমিশনার ]ভূমি) এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন। সরেজমিন তদন্তের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এরপর ওই তদন্ত কর্মকর্তা বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারি কমিশনার [ভ‚মি) ফিরোজ হোসেন ও তার গাড়ি চালক হযরত আলীর বক্তব্য গ্রহন করেন। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক [রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিষয়টি নির্বাচণী আচরণবিধির মধ্যে পড়লেও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারকের ওই সিদ্ধান্তটি অমানবিক হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট জমা দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত কি হবে সেটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ গ্রহন করবেন।