আদমদীঘিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষা উপকরণের

প্রকাশ : 2023-01-12 13:09:11১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আদমদীঘিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষা উপকরণের

নতুন বছর মানেই শিক্ষার্থীরে নতুন বই,খাতা,কলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। বছরে শুরুতেই শিক্ষা উপকরণের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের বই,খাতা,পেন্সিল, রাবার, স্কেল,কলম, স্কুলের পোষাক, ব্যাগ সহ প্রয়োজনীয় পণ্যে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এমনকি টিউশনির খরচও বেড়েছে, তাই উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। বাড়তি খরচ জোগাতে অভিভাবকদের মাঝে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,কিন্ডারগার্ডেন, চিকিৎসা, আইন সহ নতুন প্রায় সব ধরনের বইয়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি খাতা প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দেড় টাকার ফটোকটি বর্তমানে ২ থেকে ২.৫ টাকা করে করতে হচ্ছে। ছোট ফাইল ১৫ টাকা থেকে বেড়ে গিয়ে ২০ টাকা হয়েছে। কলমের ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দেড় মাস আগে প্রতি টন নিউজপ্রিন্ট কাগজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে গিয়ে ৭০ হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। সাদা কাগজের মুল্যে ছিল প্রতি টন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৯৫ হাজার ওপরে কিনতে হচ্ছে। এই দামের প্রভাব পড়েছে বই ও খাতার ওপর। ব্যবহারিক খাতা ৪০ টাকার টা বর্তমানে ৫০ টাকা, মার্কার কলম প্রতি পিস ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, সাধারণ ক্যালকুলেটর ৮০ টাকার টা ১২০ টাকা, ৯৯৯ প্লাস ১৩৫০ থেকে ১৬০০ টাকা, জ্যামিতি বক্স ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ৩০০ পাতার খাতা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মিনি ফাইল প্রতিটি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, জিপার ফাইল ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, প্লাষ্টিক ও ষ্টিলের স্কেল ডজন প্রতি ২০ টাক্ধাসঢ়; থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে । রাবার ডজনপ্রতি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে। 

আদমদীঘি উপজেলা সদরের স্টেশনারি দোকানের মালিক বেলাল হোসেন,জামাল উদ্দীন ও সান্তাহারের স্টেশনারি দোকানের মালিক ফারুক হোসেন জানান, আমাদের প্রাইকারীতেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দেশে একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে শিক্ষার উপকরণের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, পাঠ গ্রহণের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন রেফারেন্স বই ও নোট ফটোকপি করতে হয়। নতুন বছর পরার সাথে সাথে ফটোকপির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আদমদীঘি উপজেলার সদরের সোনালী ব্যাংকের নিচতলার টিআর মার্কেটের ফটোকপির দোকান মালিক জয়নুল আবেদিন জানান, কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে নিতে হচ্ছে। অভিভাবকরা জানান,শিক্ষা উপকরণের মূল্যে বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাইভেটের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের আয়তো বৃদ্ধি পায়নি।