আদমদীঘিতে ড্রেন ভরাট করে ভাগাড়, ফের ভাগাড় খনন করার অভিযোগ
প্রকাশ : 2021-05-04 19:08:59১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ড্রেনে আবর্জনা ফেলে ভাগাড় করা এবং সেই বিশাল ভাগাড় খনন করে কাঁচা ড্রেন করার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এমন ¯^-বিরোধী কাজকে ভাল কাজ দাবী করা হলেও কোন প্রকার টেন্ডার করা হয়নি।
জানা গেছে,পৌর শহরের ঘোড়াঘাট থেকে রেলওয়ে মালগুদাম হয়ে লোকো পশ্চিম কলোনীর সাবেক ইক্ষুক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত থাকা কাঁচা ড্রেন এবং খাদে দীর্ঘ দিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ আবর্জনা ফেলে ভাগাড় হিসাবে ভরাট করে আসছিল। সম্প্রতি পৌর কর্তৃপক্ষ ভরাট করা সেই ভাগাড় খনন কাজ শুরু করে। পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তের দোহায় দিয়ে প্রায় হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের ওই খনন কাজ করা হচ্ছিল টেন্ডার ছাড়াই। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল প্রশ্ন তোলায় পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অনিয়মের এই খনন কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৫/৩০টি ফলদ ও বনদ গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের একাজ কারো কোন উপকারে আসবেনা। কারন হিসাবে তারা দাবী করেন বৃষ্টি হলেই খনন করা আবর্জনা ও মাটি ফের ড্রেনে পরে ভরাট হয়ে যাবে। এর ফলে খনন কাজে ব্যয় করা রাজস্ব খাতের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাবে। এনিয়ে এলাকায় জনসাধারনের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠার পর কাজটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এতো বড় কাজ টেন্ডার ছাড়া শুরু করা ঠিক হয়নি। এছাড়া যে ভাবে কাজ করা হযেছে তাতে বৃষ্টি হলেই কাঁচা ড্রেন ও খাদ ফের ভরাট হয়ে যাবে। একাজের প্রয়োজনীয়তা, টেন্ডার না করা এবং ব্যয়ের খাত ব্যাপারে সান্তাহার পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, এবিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে মেয়রের নিষেধ আছে বলে জানান। তিনি মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ফোনে করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।