আদমদীঘিতে ট্রেন যাত্রীর আত্মীয় ধরলেন পকেটমার, ছেড়ে দিলেন পুলিশ
প্রকাশ : 2022-05-08 19:22:18১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে পকেটমার চক্রের রামরাজত্ব। প্রতিদিন কোন না কোন ট্রেনে অথবা ষ্টেশনে প্লাটফর্মে যাত্রীদের খোয়া যাচ্ছে ¯^র্নালংকার,নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মুল্যবান মালামাল। পকেটমার চক্রের অবাধ তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে একাদিক সংবাদ, অভিযোগ গেছে পুলিশের উর্ধতন মহলে। এত কিছুর পর পুলিশ বন্ধ করতে পারেনি পকেটমারদের দৌরাত্ব বরং উল্টা ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১২টায় ষ্টেশন এলাকায়। ঢাকাগামী নীলসাগর এ·প্রেস ট্রেনে রোকনুজ্জামান রুকু সরদার নামের এক ব্যক্তি এক পকেটমারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে ওই পকেটমারকে তুলে দেন সান্তাহার রেলওয়ে থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দীনের হাতে। পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দীন কৌশলে ওই পকেটমারকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁর সদর উপজেলার দোগাছী গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান রুকু সরদার অভিযোগে বলেন, তিনি তাঁর বোনের মেয়েকে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তঃনগর এ·প্রেস ট্রেনে তুলে দেয়ার জন্য শুক্রবার রাতে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে আসেন। ট্রেন ষ্টেশনে আসলে তার আত্মীয়কে ট্রেনে তুলে দেয়ার সময় এক পকেটমার তাঁর পায়জামার পকেট থেকে টাকা ও ভাগনীর হাত ব্যাগ থেকে অলংকার তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরে মোসলেম উদ্দীন নামের পুলিশ সদস্যর কাছে সোপর্দ করা হয়।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর রোকনুজ্জামান রুকু সরদার জানতে পারেন আটক করা পকেটমারকে পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দীন ছেড়ে দিয়েছেন। রোকনুজ্জামান রুকু সরদার বলেন, বিষয়টি তিনি জিআরপি থানার ওসিকে জানিয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে মোসলেম উদ্দীনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পকেটমারকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, আমি এ ঘটনায় অনুতপ্ত এবং রোকনুজ্জামান রুকু সরদারের নিকট ক্ষমা চেয়েছি। এব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি সাকিউল আজম বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।