আদমদীঘিতে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে আবাসিক হোটেলে তালা দিল জনতা
প্রকাশ : 2025-11-24 18:05:54১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দীর্ঘ দিন যাবৎ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার শহরের ষ্টেশন রোড এলাকায় অর্ধ ডজন আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে আসার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ষ্টেশন রোডের আবাসিক হোটেলগুলো মিনি পতিতালয়ে পরিনত হয়েছে। আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধ না হওয়ায় স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা গত রোববার (২৩ নভেম্বর) ওই এলাকার পলাশ বোর্ডিং, মাসুসিতা হোটেল, সান্তাহার বোর্ডিং, শুভ বোর্ডিং এ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সান্তাহার শহর পুলিশ প্রশাসনের সহয়তায় এ সকল অবৈধ কর্মকান্ড চলছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ ।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা গেছে, এ সকল আবাসিক হোটেলে দিনরাত অবাধে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। দীর্ঘ দিন থেকে এ সকল হোটেলের দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে আসছেন হোটেল ম্যানেজার আজাদ, বাবু, ফরিদ, এমদাদসহ কয়েক ব্যক্তি। দেহ ব্যবসার পাশাপশি হোটেলে মাদক ব্যবসা, সেবন ও জুয়ার আসর চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা ট্রেন যাত্রীদের কৌশলে হোটেলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের নিকটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মুল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। এদের খপ্পরে পড়ে শহরের যুব সমাজ ধংসের দিকে চলে যাচ্ছে। হোটেলের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তা দিয়ে সান্তাহার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। অনেক সময় হোটেলের কর্মচারীরা কলেজগামী ছাত্রীদের নানা ভাবে উত্তাক্ত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় শহর পুলিশকে অবহিত করার পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেলের পাশে মুক্তিযোদ্ধা মাকের্টে সান্তাহার প্রেসক্লাবের কার্যালয় রয়েছে। প্রেসক্লাবে নানা সমস্যা নিয়ে আসা লোকজন এলাকায় এসে এসকল হোটেলের অনৈতিক কর্মকান্ডে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। বিষয়টি একাধিকবার ও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় লিখেও কোন লাভ হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ষ্টেশন এলাকার কয়েকজন দোকানদার জানান, সান্তাহার শহর পুলিশের নিয়োগ করা সুনিল নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিন আবাসিক হোটেল থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। সুনিলের বিষয়টি শহরের সকলের জানা। সান্তাহার পৌর শহরের মালশন গ্রামের বাসিন্দা স্বপন হোসেন বলেন, আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে আসলেও এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন একেবারে নিরব। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পুলিশকে অবহিত করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ জনতা কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন,শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের কর্মকান্ড চলায় আমাদের জন্য এটি চরম লজ্জার ও অপমানকর। তিনি এ ধরনের কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে সান্তাহার টাউন পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।