আজ থেকে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব, অংশ নেবেন ৪ হাজার শিল্পী

প্রকাশ : 2023-10-06 10:44:13১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আজ থেকে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব, অংশ নেবেন ৪ হাজার শিল্পী

বাংলাদেশ ও ভারতের চার হাজারেরও বেশি সংস্কৃতিকর্মীর অংশগ্রহণে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩।’ দুই দেশের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এই উৎসবের দ্বাদশ এ আয়োজনে অংশ নেবেন দুই দেশের ১৪৫টি দল। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির আহ্বানে দ্বাদশবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ। ১২ দিনব্যাপী আয়েজিত এই উৎসব শেষ হবে ১৭ অক্টোবর। 

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

গত বুধবার দুপুরে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য জানান আয়োজকেরা। এ সময় জানানো হয়, উৎসবের বিভিন্ন আয়োজন একযোগে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তন এবং বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে।

উৎসবে মঞ্চনাটকের পাশাপাশি থাকবে নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্যনাট্য ও পথনাটক প্রদর্শনী। উৎসবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনার পাশাপাশি শিশু–কিশোর সংগঠনগুলোর নানা পরিবেশনাও থাকবে। জাতীয় নাট্যশালার সামনে উৎসবের মুক্তমঞ্চ নির্মিত হয়েছে। ওই মঞ্চে প্রতিদিন বিকেলে গান, কবিতা ও নৃত্যের আয়োজন থাকবে।

আজ উদ্বোধনী সন্ধ্যায় শুরুতে রয়েছে সম্মেলক জাতীয় সংগীত, উদ্বোধনী নৃত্য ও প্রদীপ প্রজ্বালন। উদ্বোধনী আলোচনার পর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’। এ ছাড়া পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বাতিঘর প্রযোজিত নাটক ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’, স্টুডিও থিয়েটার হলে একতা নাট্যগোষ্ঠীর ‘১৯৭১’ মঞ্চস্থ হবে।
 
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, উৎসবের প্রাথমিক বাজেট ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ২০ লাখ টাকা ও সাউথইস্ট ব্যাংক দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর স্বভাব কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় উৎসবের মূল মঞ্চে প্রতিবাদ বার্তা প্রদর্শিত হবে বলেও জানান তিনি।