আজ আমাদের ঈদ: বললেন হামাস নেতা

প্রকাশ : 2021-05-21 15:16:12১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আজ আমাদের ঈদ: বললেন হামাস নেতা

মিশরের মধ্যস্থতায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ফিলিস্তিনের সর্বত্র বিজয় মিছিল হয়েছে। ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
 
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পরপরই গাজা, পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নানা স্লোগান দেন। আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ।

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের নেতারা বিজয় ভাষণ শুরু করেন ঈদের খুতবা দিয়ে। মঞ্চের সামনের দাঁড়িয়ে থাকা জনতা ঈদের তাকবীর দিতে শোনা যায়।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া গাজা উপত্যকা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল-হাইয়া তার ভাষণের শুরুতেই তাকবির দেন। ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ’। এরপর সমাবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ আমাদের বিজয়ের ঈদ। হে রব, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আপনি আমাদের শত্রুদের পরাজিত করে আমাদের জনগণকে বিজয় দিয়েছেন। আল কুদসকে বিজয়ী করেছেন, শেখ জাররাহকে বিজয়ী করেছেন, সকল স্থানের জনগণকে বিজয় দান করেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হয়। ওই মন্ত্রিসভা বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ‘মিশরীয় প্রস্তাব’ মেনে নিয়েছে।  

গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরাইল। হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তেল আবিব যতক্ষণ পর্যন্ত শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করবে।

গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। এর দুদিন পর পবিত্র শবে কদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিরা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে বাধ্য হয় দখলদার ইসরাইল সরকার।