আজকে প্রাণহানি-শনাক্ত দুটোই কমেছে

প্রকাশ : 2022-02-11 18:39:05১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আজকে প্রাণহানি-শনাক্ত দুটোই কমেছে

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭৭১ জনের।

একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৬৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৩ জনে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৩৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮১ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭১টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯৬টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৬টি।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী সদস্য রয়েছেন। মৃত ২৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে এক বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।  

এতে আরও বলা হয়, মৃত ২৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের একজন ও সিলেট বিভাগের দুজন রয়েছেন। মৃত ২৭ জনের মধ্যে ২৩ জন সরকারি হাসপাতালে ও চারজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৯৯৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৭৩ হাজার ৬২০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬০ হাজার ৯৯৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।