আজকে প্রাণহানি কমেছে, বেড়েছে শনাক্তের হার

প্রকাশ : 2021-10-18 18:05:21১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আজকে প্রাণহানি কমেছে, বেড়েছে শনাক্তের হার

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭৭৮ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৭ জন। মৃত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ চার জন ও ছয় জন নারী।  সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৭১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ১৬টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি এক লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪টি।   

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন তিনজন, চট্রগ্রাম বিভাগে দুইজন, রাজশাহী বিভাগে একজন এবং খুলনা বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালেই ১০ জন মারা গেছেন।      

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।        

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৩০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩১৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার ৬২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৭ হাজার ৯৩১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।