আজকে প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা
প্রকাশ : 2022-01-23 18:05:52১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২২৩ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯০৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন। মৃত ১৪ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও আটজন নারী। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১১ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৫৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৪টি, জিন এক্সপার্ট ৫৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৪৬টি।
এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৫১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৫৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগের একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের একজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুইজন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ২৬৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২১৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৫৮ হাজার ৩৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৯ হাজার ৪৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।