আগস্ট ট্র্যাজেডিঃ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং তার পরিণতি
প্রকাশ : 2021-08-09 12:38:38১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপর্যয়কর ঘটনা অবশ্যই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড। যার নেতৃত্বে অভ্যুত্থয় ঘটল একটি নতুন দেশের, তাকেই খুন করা হল স্বাধীনতার চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে। দেশের অগ্রগতির অন্তরায় হয়ে উঠেছিল সেই বিপর্যয়। এরপর দুটি সামরিক শাসন আমাদের আরো ঠেলে দেয়ে পেছনের দিকে। দীর্ঘকাল আটকে রাখলেও সে হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। যদিও আজও সবার রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। হাজারো বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার করাও বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন। ১৯২০ সালে টুংগী পাড়ায় যে শিশুটি জন্ম নিয়েছিল, কালের আবর্তনে সেই হয়ে উঠেছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। বায়ান্নর ভাষা-আন্দোলন থেকে পাকিস্তান সরকারের এ ভুখন্ড বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সোচ্চার প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল যে কণ্ঠস্বরে, সেই বজ্রকণ্ঠের সুনিপুণ দক্ষতায় পরাধীনতার নাগপাশ থেকে দেশ দেখেছিল মুক্তির সোনালী সূর্য। সেই মহামানব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের কালোরাত ১৫ আগস্ট ভোরে।
দীর্ঘ ২৩ বছর পর সেই হত্যার ঐতিহাসিক মামলার রায় ঘোষিত হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার ১৭১ পৃষ্ঠাব্যাপী যে রায় ঘোষণা করেন তার শুরুতেই তিনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলেনৎঃ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কয়েকমাস পূর্ব হতে সেনাবাহিনীর বিপথগামী ও চাকুরিচ্যুত বিক্ষুব্ধ কিছু লোক রাজনৈতিক উচ্চবিলাষী কিছুর ব্যক্তির সহযোগী হয়ে যৌথ ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও তাঁর সরকারকে উৎখাত করার চক্রান্তে ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অতঃপর শলা-পরামর্শ ও পরিকল্পনা মতে, সেনাবহিনীর ঐ সমস্ত লোক ১৯৭৫ সনের ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত্রে নাইট ট্রেনিং/প্যারেডের অজুহাতে ঢাকা ক্যানটনমেন্ট এলাকার বালুরঘাটে একত্রিত হয়ে সৈনিকদেরকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ব্রীফিং করে ট্যাংক, কামান, অস্ত্র গোলাগুলি নিয়ে বিভক্ত হয়ে একদল আনুমানিক ভোর ৫টার সময় ধানমন্ডি ৩২ নং রোডস্থ' বঙ্গবন্ধুর ৬৭৭ নং বাসভবনে সশস্ত্র আক্রমন চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ৩ ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, রাষ্ট্রপতির মিলিটারী সেক্রেটারী কর্ণেল জামিলসহ মোট ১১জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহগুলির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন না করে কবরস্থ করে। প্রসিকিউশন দেশের সুষ্ঠু ও সামাজিক শান্তি নিশ্চিত করার এবং আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের আইনতঃ বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবী করে।
শেখ মুজিব ছিলেন একজন বিশাল মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। এই নেতার হত্যাকান্ডও ছিল রাজনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। ফলে এই হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করতে আওয়ামী লীগকে সুদীর্ঘ ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ৬ জুলাই ঢাকা দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাশে বিচার কার্য শুরু হয়। এর আগে ৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর পিএ মহিতুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু মামলার বাঁধা থেকে যায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কারণে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহম্মেদসহ প্রখ্যাত আইজীবীদের আইনী ব্যাখ্যায় মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্তে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ২২ নভেম্বর ১৯৯৬ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি বাতিল করা হয়। মামলাটির চার্জশীঠ দাখিল করা হয় ১৫ জানুয়ারি ১৯৯৭, এবং ১২ মার্চ মামলাটি আদালতে উঠে। রুজুকৃত এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ এই মামলার খুঁটিনাটি তদন্তপূর্বক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারা মোতাবেক বর্তমানে মৃত খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, মাহবুব আলম চাষী, ক্যাপ্টেন মোস্তফা ও রিসালদার সৈয়দ সারওয়ার হোসেন সহ উপস্থিত (১) লে: কর্ণেল সৈয়দ ফারুক রহমান, (২) লে. কর্ণেল সুলতান শাহরিয়ার খান, (৩) লে. মহিউদ্দিন (আর্টিলারি), (৪) অনারারী ক্যাপ্টেন আব্দুল ওহাব জোয়ার্দার, (৫) প্রাক্তন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর, (৬) জোবায়দা রশিদ (সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি অব্যাহতি পান)সহ পলাতক ১৪ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১২০বি/৩০২/৩৪/১৪৯/৩২৪/৩০৭/২০১/৩৮০/২০১ ধারার অপরাধের অভিযোগপত্র/ চার্জশীট দখিল করতঃ জীবিতদের বিচারের জন্য সোপর্দ করে। আদালত প্রশিকিউশনসহ সকল আসামীপক্ষের বিস্তারিত বক্তব্য শ্রবণ ও মামলার নথিভূক্ত কাগজপত্র/তথ্যাবলী পর্যালোচনা পূর্বক গত ৭/৪/৯৭ তারিখে ফৌ:কা:বিধির ২৬৫(ঘ) ধারা মোতাবেক জীবিত ২০ জন আসামীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১২০বি/৩০২/৩৪/২০১ ধারার অপরাধের ৩দফা বিশিষ্ট অভিযোগ/চার্জগঠন করে পড়ে শুনিয়ে আসামীদের মতামত চাইলে তারা নিজেদের নির্দোষ বলে বিচার চায়। উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রের খরচায় নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীগণ পলাতক আসামীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। আসামী জোবায়দা রশিদ রিভিশন মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে অভিযোগের দায় হতে অব্যাহতি লাভ করেন। দীর্ঘ ১৪৯ দিন শুনানির পর ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ৮ নভেম্বর ১৯৯৮ রবিবার বিকালে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
জণাকীর্ণ আদালত কক্ষে রায় ঘোষণাকালে বিচারক প্রথম চারজনকে এই মামলা হতে অব্যাহতি দেন এবং ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যভাবে মৃত্যুদন্ড দেন। তবে তাতে যদি কোন অসুবিধা থাকে তাহলে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। বিচারক কাজী গোলাম রসুল মামলার রায় ঘোষণায় বলেন, বাংলাদেদেশের ফৌজদারী আদালতের ইতিহাসে বঙ্গব্ন্ধুর হত্যা মামলাটি অনন্য হলেও প্রচলিত আইনে অপরাপর হত্যার ন্যায় ইহাও একটি হত্যা মামলা।
এসএইচ নূর চৌধুরী। এদের মধ্যে এসএইচ নূর চৌধুরী কানাডাতে গিয়ে ১৯৯৬ সালে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় চায়। পরে প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট এর আবেদন করেন। এই আবেদন কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ আবেদন করলে কানাডা সরকার তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায়। গত বছর কানাডার ফেডারেল আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে, এই তথ্য প্রকাশ করলে জনস্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে না। ফলে তাকে ফিরিয়ে আনার পথ উন্মোচন হয়েছে বলে ভাবা হচ্ছে। আরেক খুনি কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী অবস্থান করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সেক্রামেন্টো থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের শহর কনকর্ডে অবস্থান করছেন। বাকি তিনজনের সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। নিশ্চিত করা না গেলেও বিভিন্ন সময়ে শোনা যায় কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিস্তান অথবা লিবিয়ায় অবস্থান করছেন। শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
আগে ভাবা হতো মোসলেমউদ্দিন জার্মানিতে অবস্থান করছেন। আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পরে মোসলেম উদ্দিনের ভারতে থাকার বা ভারতে মারা যাওয়ার বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে ২০০১ সালে মারা যায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পলাতক খুনিদের খোঁজে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি করা আছে। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোও চিহ্নিত করে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল মাজেদের বিষয়ে ধারণা ছিল তিনি সেনেগালে লুকিয়ে আছেন। তিনি কলকাতাতেই আত্মগোপনে থাকতে পারেন সেটা অভাবনীয়ই ছিল। এ বছর মার্চের মাঝামাঝিতে সে ঢাকায় ফেরে অথবা ভারতীয় পুলিশ এর আগে তাকে পুশব্যাক করে। ৬ এপ্রিল গাবতলী এলাকা থেকে বাংলাদেশের পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়। অন্য খুনিদের সাথে সে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যায় এরপর সেনেগালের দূতাবাসে তাকে বদলী করা হয়। সেখান থেকে ১৯৮০ সালে দেশে আসলে তৎকালিন সরকার তাকে বিআইডব্লিউটিসিতে উপসচিব পদমর্যাদায় চাকরি দেয়। পদন্নোতি পেয়ে সচিব পদমর্যাদায় সে যুব উন্নয়ন মন্ত্রকে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে বিচারের মুখোমুখি হওয়া আঁচ করতে পেরে আত্মগোপন করেন। এরপর দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় নিজের পরিচয় গোপন করে ছিলেন। পার্কস্ট্রিট এলাকায় আলি আহমেদ নাম নিয়ে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে প্রাইভেট পড়াতেন ছাত্রদের। সেখানে সে আবারো বিয়ে করে সংসার পাতেন। তাদের ৬ বছরের একটি কন্যাও রয়েছে। ঢাকার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়েই সে চিহ্নিত হয় এবং ধরা পরে। ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের বিষয়েও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। আব্দুল মাজেদের বরাতেই সম্ভবত জানা যায়, মোসলেম উদ্দিন সমীর দত্ত পরিচয়ে ইউনানী চিকিৎসক হিসেবে বাস করতেন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণায়। তিনি হিন্দু সেজে হিন্দু নারীকে বিয়ে করে আত্মগোপনে ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে হিন্দু রীতিতেই তাকে গাইঘাটা শ্মশানে দাহ করা হয়। শিমুলপুরের পরেশ চন্দ্র অধিকারী মোসলেম উদ্দিনকে দমদম স্ট্যাশন থেকে বাড়ি এনে আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরেশ চন্দ্র আর বেঁচে নেই। তার কন্যা মমতা অধিকারীর কাছ থেকে মরদেহের ছবিতে দেখা যায় সমীর দত্তকে হিন্দু নিয়মে সৎকারের জন্য সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে ফুলচন্দন পরিয়ে গলায় মালা পরানো হয়েছে। পুলিশ তার চেম্বারে অভিযান চালিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন বই না পেলেও ইসলাম ধর্মের ও ভারত ভাগের উপর বেশ কিছু বই পায়। তাতে ধারণা করা হয়, সমীর দত্তই হতে পারে মোসলেম উদ্দিন। তবে আনন্দবাজার পত্রিকা দাবী করেছে মোসলেম উদ্দিন নিজের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে দিয়ে চব্বিশ পরগণা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি মারা যাননি। কয়েকটি মিডিয়া দাবি করেছিল, তিনি তিন বছর আগেই মারা গিয়েছেন। আবার কয়েকটি মিডিয়া দাবি করে, মোসলেম উদ্দিনকে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে। কোন খবরই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মোসলেম উদ্দিন অধরাই থাকলেন আরো কিছু রহস্য তৈরি করে। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। খুনিদের হয় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, না হয় তারা পালিয়ে রয়েছেন। জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে, বিচার বিভাগের উপর আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও বুদ্ধিজীবী রায় প্রদান ও ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করাকে জাতির দায়মুক্তি হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এই বিচার সম্পন্ন করতে পারা ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায় এই বিচার সম্পন্ন করতে পারার কারণেই বাংলাদেশে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আর ঘটবে না।
( লেখক একজন ব্যাংকার এবং অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন, শ্রীনগর কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক, ভাগ্যকুল পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি)