আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কোটি কোটি রাজস্ব ফাঁকি!
প্রকাশ : 2022-08-06 19:55:22১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলার আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর দুই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।উপজেলার জিড়েনতলা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরী অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ।
রাজস্ব চুরি হাতেনাতে ধরা ও শ্রমিক বিক্ষোভের বিষয়ে শ্রমিক বুলবুল মোল্লা, মাজেদা বেগম, বক্কার, সরোয়ার ও রেজাউল মোল্লাসহ নারী-পুরুষ শ্রমিকরা জানান, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার এমদাদুল হক মোল্লাহাটে যোগদানের পর থেকে কৌশলে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব চুরি করে চলেছেন। আর এ কাজের মূল হোতা আ লিক ম্যানেজার শান্ত কুমার সাহা। রাজস্ব ফাঁকির ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবারও শ্রমিকদের কাছে জাল ব্যান্ডরোল দেন ম্যানেজার। কাজও শুরু হয় স্বাভাবিক নিয়মে। এর মধ্যে একজন পুরুষ শ্রমিক প্রথমে বুঝতে পারেন, তাদের মাধ্যমে বিড়ির প্যাকেটে, ব্যান্ডরোল (রাজস্ব ষ্টিকার) লাগানো হচ্ছে তা জাল/নকল। এরপর বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়। পরে দেখা যায়, ফ্যাক্টরীতে বিশ লাখ ব্যান্ডরোল রয়েছে যা সম্পূর্ণ নকল। যার রাজস্ব মূল্য এক কোটি নব্বই লাখ টাকা। এরপর ফ্যাক্টরীর কয়েক’শ শ্রমিক মিলে ম্যানেজারকে চোর চোর বলে খোঁজে। তখন অবস্থা বেগতিক বুঝে ম্যানেজার নিজ অফিস কক্ষে ঢুকে ক্লপ্সবল গেটে তালা লাগিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। এরপর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন সরকারের রাজস্ব ফাঁকির বিচার। খবর পেয়ে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পৌঁছে উদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।নারী-পুরুষ শ্রমিকরা আরো জানান, সকল শ্রমিকরা আসল/নকল ভালো বোঝেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে এ ফ্যাক্টরীতে কাজ করেছেন, তাদেরকে মিথ্যা অপবাদ ও মামলার আসামি করে বিতাড়িত করা হয়েছে। এরপর বিশেষ করে নারী ও যারা অনাভিজ্ঞ এমন শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে তাদের দিয়ে জাল/নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে সরকারকে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে কোম্পানীর মালিক পক্ষ।
শ্রমিকরা বলেন, দুই ম্যানেজার শান্ত কুমার সাহা ও এমদাদুল হকের এ অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দলোন চালিয়ে যাবেন।
ফ্যাক্টরী সংলগ্ন উপজেলার কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শ্রমিকদের সাথে একমত হয়ে জানান, ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার এমদাদুল হক ও আ লিক ম্যানেজার শান্ত কুমার সাহা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল লেবেল লাগিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে নিজের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে আঞ্চলিক ম্যানেজার শান্ত কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা যাই হোক সমাধান করবেন মালিকপক্ষ। এতে ফ্যাক্টরীর ক্ষতি ও বিক্ষোভ করা যাবে না।
জিড়েনতলা ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার এমদাদুল হক স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি মাত্র দেড় বছর হয়েছে এখানে এসেছি, এ সব আগে থেকে হচ্ছে, শ্রমিকরা জাল ব্যান্ডরোল আনতে পারে। আমি চাকরি করি, এটা মালিকের বিষয়।