আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ভারতের দাসত্ব মেনে নিয়েছিল তাই চিনিকলগুলোকে বন্ধ করে দেয়

প্রকাশ : 2024-10-24 16:55:17১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ভারতের দাসত্ব মেনে নিয়েছিল তাই চিনিকলগুলোকে বন্ধ করে দেয়

জাগপার সহসভাপতি  মূখ্যপাত্র সমন্বয়ক বার দলীয় ঐক্যজোট আল রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামীলীগ ভারতকে খুশি করার জন্য এস আলমের ব্যবসা ভালো হয় তাই চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেয়। যারা চিনিকলে চাকরি করে তাদের কি হবে তাদের পরিবারের কি হবে ‘ আসলে তাদের চিন্তা করার কথাও না। এই ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ গুলি করে দেশের সাধারন মানুষকে হত্যা করে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করে ওই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছোটো ছোটো শিশুদের হত্যা করে খেলারত শিশুকে হত্যা করে তারা আখচাষীদের চিন্তা করবে এটা একটা অবিশ্বাসযোগ্য বিষয়। 

তিনি বৃহষ্পতিবার সকালে পঞ্চগড় চিনিকলের পাশে মহাড়কে পঞ্চগড় বন্ধ চিনিকল চালুর দাবিতে আখচাষী ও শ্রমিক কর্মচারী আয়োজিত মানববন্ধনে আয়োজিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। আল রাশেদ প্রধান বলেন আমরা যখন  দূশ্যত চোখ মেলে দেখি পুলিশের গুলিতে বিজিবির গুলিতে আন্দোলনের সময় যারা হতাহত হয়েছে তাদের মৃত্যুটা আমরা  দেখতে পারি।কিন্তু পঞ্চগড় চিনিকলে যারা কর্মরত ছিলেন যে সকল আখচাষী ছিলেন তাদের পরিবার কাজের অভাবে অর্থ উর্পাজনের অভাবে তিলেতিলে যে পরিবারগুলো ধব্ংস হয়ে যায় সেগুলি চোখে পড়েনা।

আল রাশেদ প্রধান বলেন এগুলো অনুভব করতে হয় সেই অনুভব করার জন্য একজন মানুষ হতে হয়। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ কখনো মানুষের পর্যায়ে ছিলনা। তারা দানব হয়ে ওঠেছিল তারা তিলে তিলে দেশের মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের সৌভাগ্য বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল একত্রতা ঘোষনা করে যে আন্দোলন সৃষ্টি  করেছিল সেই আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিস্টশেখ হাসিনা তার নিজ দেশ, নিজ প্রভু দিল্লী এবং ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী  সরকারকে সকল রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছি। তাদের স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই দিল্লী এবং ভারতের মতো আচরণ   ও শেখ হাসিনার মতো আচরণ করা যাবে না।বিএনপি গনপরিষদের পরিচয় দিতে চাইনা, জামাতের পরিচয় চাইনা জাগপার পরিচয় দিতে চাইনা আমি আমার মরহুম পিতা শফিউল আলম প্রধানের পরিচয় দিতে চাইনা। দলের উর্দে আসুন। আমরা পঞ্চগড়ের মানুষ কোন দলের নই হিন্দু নই মুসলমান নই। আমরা পঞ্চগড় চিনিকলকে রক্ষা করতে আখচাষীকে  রক্ষা করতে হবে।তাই দ্রুত পঞ্চগড় চিনিকলের তালা খুলে দিতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আখচাষী সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ, পঞ্চগড় গনপরিষদের নেতা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পঞ্চগড় আখ চাষী সমিতির আহবায়ক মনজর রহমান, পঞ্চগড় চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সা. সম্পাদক আহামদ আলী ছবি প্রমূখ।