অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা
প্রকাশ : 2022-06-16 10:47:35১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
‘শিরোনাম অতি আকর্ষণীয় করার তাগিদে’ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে অর্থমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের অংশবিশেষ ব্যবহার করায় একটি ‘অনাকাঙ্খিত বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ‘ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই কালো টাকার মালিক: অর্থমন্ত্রী’ এমন শিরোনামে সংবাদটি পুরোটা না পড়লে পাঠকের কাছে ‘ভুল বার্তা’ যাবে বলেও মন্ত্রণালয় দাবি করেছে।
বুধবার (১৫ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম সই করা এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের নিউজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পুরো সংবাদটি যদি কেউ না পড়ে তাহলে এধরনের শিরোনাম ভুল বার্তা পৌছে দিচ্ছে। তাই বক্তব্যটি খেয়াল করে প্রকৃত বার্তাটি পৌছে দিয়ে অনাকাঙ্খিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী বুধবার (১৫ জুন) অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তার চেয়েও বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না, প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না। সুতরাং কালো টাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে; কে কালো টাকার বাইরে আছে?’
একই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, হয়তো যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম হয়তো ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত? সুতরাং ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই এক অর্থে কালো টাকার মালিক। তবে এ পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান সিস্টেম বা ব্যবস্থা দায়ী।’