অবশেষে ৪০বছর পর চালু হচ্ছে সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতাল

প্রকাশ : 2021-03-25 19:32:57১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

অবশেষে ৪০বছর পর চালু হচ্ছে সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতাল

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কয়েক দফায় কাজ করে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানের কাজ। বর্তমানে হাসপাতালটি চালু করার অপেক্ষায়।  সান্তাাহার শহরের রথবাড়ি এলাকায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয় ১৯৮০ সালে । নির্মান কাজ শুরু করার জন্য সে সময়ের ঠিকাদার নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য সেডও নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু কাজ শুরুর পুর্বে সরকারের পতন হয়। এরপর আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতাল থাকার অজুহাতে এরশাদ সরকার সান্তাহারের এই হাসপাতাল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালে প্রায় চার কোটি টাকার দরপত্রে নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন। নির্মাণ কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিদায় লগ্নে “রাজনৈতিক ভাবে” শুধুই উদ্বোধন করে। কাগজে-কলমে হাসপাতালটি চালু দেখানো হয়। 

এদিকে, কাজের ঠিকাদার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে হবার কারনে ব্যায় করার চেয়ে বেশী পরিমান (প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা) বিল তুলে নেয়। এমন অবস্থায় ফকরুদ্দিন-ময়নুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, আগের সরকারের সময়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা কাজের চেয়ে বেশী দেওয়া বিলের টাকার সমপরিমান (৭৬ লাখ) কাজ নিজ দায়ীত্বে করে দিতে বাধ্য হয়। এরপরও অসমাপ্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে হাসপাতাল। এক সময় মাদক বিক্রি ও সেবনের নিরাপদ আখড়া হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও খদ্দেররা। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার আমলে হাসপাতালটির নির্মাণ শেষে এবং চালু করার জন্য যোগাযোগ করা হয়। ২০২০ সালের শেষে ফের দরপত্র আহবান করে শেখ হাসিনা সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রায় তিন কোটি টাকার চুক্তি মুল্যে নির্মান কাজ শুরু হয়। ইতি মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার ফারুক হোসেন। 

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বগুড়া বিভাগের দায়ীত্ব পালনকারি সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদারের নিকট থেকে হাসপাতালের দায়ীত্ব বুঝে নেয়া হবে।  বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গওসুল আজম চৌধুরি বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য জনবল এবং অপারেশন থিয়েটারের সামগ্রী ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী’র চাহিদা পত্র স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এসব মিললেই বহু প্রতিক্ষিত হাসপাতালটি অচিরেই চালু হবে।