অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
প্রকাশ : 2021-10-19 18:27:26১ | অনলাইন সংস্করণ
নিউজ ডেস্ক
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের দায়িত্বশীল এবং তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সব ধরনের জটিলতা বা ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব হবে।মঙ্গলবার ( ১৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ যখন আনন্দের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় স্থাপনা এবং প্রতিমার ওপর হামলার খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার নিঃসন্দেহে সেসব ঘটনার নিন্দা জানায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতরে ও বাইরে থেকে প্রতিক্রিয়াগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বাহিনীকে ২২ জেলায় মোতায়েন করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে সরকার পুনরাবৃত্তি করতে চায় যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি এবং ধর্মের মানুষ এই ভূখণ্ডে শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার সাংবিধানিক বিধান দ্বারা সুরক্ষিত। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আইন তার সব নাগরিককে যে কোনো প্রকার বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতা থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়। দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকদের ধর্ম, বিশ্বাস ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে তাদের মৌলিক অধিকার ভোগ নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ সরকার দৃড়ভাবে সমর্থন করে যে, প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের’ এই মূলমন্ত্রকে সমর্থনের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে সব ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে তাদের কল্যাণের জন্য বিশেষ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেও সহায়তা করছে। এই বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে ৩ কোটি টাকা দান করেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীলতা, শান্তি ও বহুত্ববাদের মনোভাব সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার আশা করে মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের দায়িত্বশীল এবং তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে সব ধরনের জটিলতা বা ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব হবে।