অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: ডিবির সেই সাত সদস্যের কারাদণ্ড

প্রকাশ : 2022-09-20 13:44:19১ |  অনলাইন সংস্করণ

  নিউজ ডেস্ক   

অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: ডিবির সেই সাত সদস্যের কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় বহিষ্কার হওয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যের ৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুই ধারায় এক লাখ ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন।মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক সাতজনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। আসামিরা উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করবেন। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে।'

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই ফিরোজ আহমদ, এএসআই আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মোস্তফা আজল ও কনস্টেবল মো. আল আমিন। তারা সবাই বহিষ্কার হয়েছেন।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’হত্যার হুমকি দিয়ে স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় ব্যবসায়ীর পরিবার।টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ভোরে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ৬ সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির ৭ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন ব্যবসায়ী গফুর আলম।২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠান বিচারক। পরে মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।’রায়ে দোষ প্রমাণ হওয়ায় সাতজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।