শুভ জন্মদিন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শাকিরা ইসাবেল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৫ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১২

২০১০ সালে ফিফা বিশ্বকাপে সারা বিশ্বকে মাতিয়েছেন নিজের তালে, তিনি সবার পরিচিত শাকিরা। আফ্রিকান সংস্কৃতিকে নিজের মত ফুটিয়ে তুলেছেন তার দক্ষ শিল্প নিপুনতায়। ২০১৪ সালে ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপে থিম সং না করলেও জপ্রিয়তা পেয়েছে শাকিরার গানই। তাছাড়া তার হোয়েনএভার, হিপ্স ডোন্ট লাই, লোকা লোকা সহ তার বিখ্যাত সব গান ও নাচের তালে সব যুগেই দর্শক মাতাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছেন।

শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোই (জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭) যিনি শাকিরা নামেই সমধিক পরিচিত; একজন কলম্বীয় গায়িকা-গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত প্রযোজক, নৃত্যশিল্পী ও জনহিতৈষী। কলম্বিয়ার, বার্রাংকিলাতে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। স্কুল জীবনে সরাসরি উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। সেখানে তার নিজস্ব বেলি ড্যান্সিং-এর সাথে তিনি তার কণ্ঠে স্বার্থকভাবে রক অ্যান্ড রোল, ল্যাটিন, পূর্ব মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গীত ফুটিয়ে তুলতেন। শাকিরার মাতৃভাষা স্পেনীয় হলেও, তিনি অনর্গল ইংরেজি, পর্তুগিজ, এবং ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন।

কলম্বিয়ার স্থানীয় প্রযোজকদের সহায়তায় শাকিরার সঙ্গীত জীবনের প্রথম দুইটি অ্যালবাম প্রকাশ পায়, কিন্তু সেগুলো কলম্বিয়ার বাইরে খুব একটা পরিচিতি পায় নি, এবং সেগুলো ব্যবসায়িকভাবে সফল না হওয়ায় শাকিরা পরবর্তীতে নিজেই নিজের অ্যালবাম প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে তার নিজস্ব প্রযোজনায় অ্যালবাম পিয়েস দেসকালসোস (Pies Descalzos) প্রকাশ পায়; যা তাকে লাতিন আমেরিকা ও স্পেনে খ্যাতি এনে দেয়, এবং তাকে একজন রহস্যময় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে দোন্দে এস্তান লোস লাদ্রোনেস অ্যালবামটি শিল্পী হিসেবে তার গুরুত্ব বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই অ্যালবামটির জন্য তিনি রোলিং স্টোন, অল মিউজিক গাইড, এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের সঙ্গীত সমালোচকদের কাছ থেকে উৎসাহব্যাঞ্জক সাড়া পান।

তিনি দুইবার গ্র্যামি পুরস্কার, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। বিএমআই-এর তথ্যানুসারে, তিনি কলম্বিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে বেশি অ্যালবাম বিক্রিত শিল্পী, এবং সেই সাথে তিনি ব্যবসায়িকভাবে সফল দ্বিতীয় ল্যাটিন অ্যামেরিকান নারী শিল্পী, যাঁর অ্যালবাম বিশ্বব্যাপী পাঁচ কোটি কপি বিক্রিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র শিল্পী যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড হট ১০০, কানাডিয়ান বিলবোর্ড হট ১০০, অস্ট্রেলিয়ান এআরআইএ চার্ট, ও ইউকে সিঙ্গেলস চার্ট-এ প্রথম স্থান পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

হলিউড ওয়াক অফ ফেইম-এ একজন তারকা হিসেবে শাকিরা পুরস্কৃত হয়েছেন।

শাকিরা সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা সাইটে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যে কিনা ফেসবুকে ১০০ মিলিয়ন লাইক পেয়েছেন। তিনি ম্যারাকানা স্টেডিয়ামে দাঁড়ানো আছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার একটু আগের মুহূর্ত ছিল সেটা। ছবিটি ৪ দিনের মধ্যেই ৩.৫ মিলিয়ন লাইক পেয়ে গেছিল, এটাই এই তারকার সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া ছবি হয়ে গেছিল তখনই।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

শাকিরার একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন রয়েছে। নিজের জনপ্রিয় অ্যালবাম 'পিয়েস ডেসক্যালজোস'-এর নামে ১৯৯৭ সালে শাকিরা তার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন নিজ দেশে। সার্বজনীন শিক্ষার প্রচারই এর মূল উদ্দেশ্য। যার অর্থায়নে তিনি মানব সেবার কাজ করে থাকেন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি আটটি বিদ্যালয় গড়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন চ্যারিটেবল কনসার্টে তিনি অংশগ্রহণ করেন, তার বিভিন্ন অ্যালবাম ও গান থেকে অর্জিত কিছু অর্থ তিনি এই ফাউন্ডেশনে দান করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্ত আছেন ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত