কোক স্টুডিও বাংলা’র বনবিবি দর্শক-শ্রোতাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেল প্রকৃতির মাঝে
প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৩, ১১:১৭ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০
কোক স্টুডিও বাংলা-র নতুন গান বনবিবি। ফোক ফিউশন ধরনের এই গানে অংশ নিয়েছে বিখ্যাত ব্যান্ড মেঘদল এবং জোহরা বাউল। গানটির সুর ও প্রযোজনা করেছে মেঘদল। এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি রক ব্যান্ড কোক স্টুডিও বাংলা-র কোনো গানে অংশগ্রহণ করেছে। বনবিবি একটি দৃশ্যকল্প, যা দর্শকদের নিয়ে যায় প্রকৃতির গভীরে। বনবিবি একটি পৌরাণিক চরিত্র। লৌকিক বিশ্বাস অনুসারে সকল অশুভের হাত থেকে তিনি বনকে রক্ষা করেন। এই চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই গানটি তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রচলিত কিংবদন্তী অনুযায়ী বনবিবি চরিত্রের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতির অনিশ্চিত অবস্থাকে মেনে নেয়। পুরো গানটিতে একটি রহস্যময় ও আধ্যাত্মিক বিষয় রয়েছে, প্রকৃতির সাথে একাত্ম হলেই যা অনুভব করা যায়। গানটির মূল গায়ক মেঘদল। বাংলাদেশি রক ব্যান্ডের সম্বৃদ্ধ ধারার সাথে এখানে খুব সুন্দরভাবে মেশানো হয়েছে খনার বচনের গভীরতা। শত শত বছর ধরে খনার বচন বাঙালিদের প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে শিখিয়েছে। সেই সাথে জোহরা বাউলের পরিবেশনা গানে যুক্ত করেছে লোকসঙ্গীতের স্বাদ। এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে চমৎকার একটি ফোক ফিউশন।
গানটির সুরে ভিন্নতা আনার জন্য ঢেঁকি ও কুলাকে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বনবিবি-র সেটের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে এস এম সুলতানের শিল্পকর্ম। বরেণ্য এই শিল্পীর কাজে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারটি সবসময়ই গুরুত্ব পেয়েছে। মেঘদল বনবিবি সম্পর্কে বলে, “এটি এমন একটি গান, যা দর্শক-শ্রোতাদের এই পৃথিবীর যত কোলাহল ও জটিলতা ভুলিয়ে দেয়। আমরা আশা করছি, এই গান শোনার পর সবাই নিজেদের প্রকৃতির আরো কাছে অনুভব করবেন। কোক স্টুডিও বাংলা-র প্রতিভাবান শিল্পীদের সাথে কাজ করাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।” দর্শক-শ্রোতাদের গানের পরিপূর্ণ স্বাদ দেওয়ার জন্য গানটি রাত ১টায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই সময়টি বেছে নেওয়ার বিশেষ কারণ হচ্ছে, এই সময়ে বনের পরিবেশ থাকে শান্ত। তাছাড়া এই গভীর রাতে দর্শক-শ্রোতারাও তাদের দৈনন্দিন জীবনের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে থেকে গানটি উপভোগ করতে পারবেন। কোক স্টুডিও বাংলা-র সঙ্গীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব বলেন, “বনবিবি গানটা প্রকৃতির বন্দনা করে। প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়ার বিষয়টি এখানে গুরুত্ব পেয়েছে। আমাদের লোকসঙ্গীত ও নিজেদের শহুরে ইন্ডি সুরের মধ্যে চমৎকার একটা ফিউশন তৈরি করেছে মেঘদল। এই গানে তারা খনার বচন ও বনবিবি’র কিংবদন্তীর মতো বিভিন্ন উপাদানের সাথে প্রকৃতিতে শুনতে পাওয়া নানা সুরের মিশ্রণ ঘটিয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ঢেঁকি ও কুলার শব্দ। গ্রামীণ বাংলার চিত্রের এখানে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। একইসাথে এই গান আমাদের নিয়ে যায় দূরের কোনো বনে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকৃতির কাছাকাছি অনুভব করতে পারি। দর্শক-শ্রোতাদের আমরা একটি ম্যাজিক্যাল অভিজ্ঞতা উপহার দিতে চেয়েছি। মেঘদলের সাথে কাজ করা আমরা দারুণ উপভোগ করেছি।”
কোক স্টুডিও বাংলা-র অফিশিয়াল ইউটিউব ও স্পটিফাই চ্যানেলে এখন বনবিবি উপভোগ করা যাচ্ছে। কোকা-কোলা বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা- কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও ফ্যান্টা অ্যাপল। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান কোকা- কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড [“সিসিবিবিএল”] এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির [টিসিসিসি] স্বাধীন, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (“এএমএল”) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০-র বেশি ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
“ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন [টিসিসিএফ]। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষের বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত